রোজজকার নানা কাজের চাপের ও নানামুখী ব্যস্ততার কারণে অনেক সময় এমন সব খাবার খেয়ে থাকি যা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে, কিডনি সেই অতিরিক্ত অ্যাসিড শরীর হতে বের হতে পারে না। যারফলে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা।





সময়ের পরিক্রমায় এই ইউরিক অ্যাসিড শরীরের নানা অস্থিসন্ধিতে জমা হতে থাকে। যেমন: হাঁটু, হাতের কবজি। ফলে এতে করে অস্থিসন্ধি ফলে যায় এবং বেশিরভাগ সময় ব্যাথা হতে থাকে।





শরীরে ইউরিক অ্যাসিড হলে যেসব খাবার খাওয়া নিষেধ:
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণের জন্য খাবার দাবার এর নিয়ন্ত্রণের তেমন একটা প্রয়োজন নেই। তবে অতিরিক্ত পিউরিনযুক্ত খাবার যেমন: লাল মাংস, লাল মদ, সামুদ্রিক মাছ কম খাওয়া অবশ্যক। এছাড়াও উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন: মুসুরির ডাল, মাংস, রাজমা, পালং শাক এড়িয়ে চলাই উত্তম।





তবে চিনি খাওয়া হতে পারে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির একটা অন্যতম প্রধান করণ। সেই সাথে এই অ্যাসিডের কারণে হতে পারে গেঁটে বাত, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির সমস্যা সহ আর নানা রোগব্যাধি।





ইউরিক অ্যাসিড হলে যা করবেন:
স্বাভাবিক অবস্থায় শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা যথাক্রমে পুরুষের জন্য প্রযোজ্য ৩.৪ হতে ৭.০ mg/dl এবং নারীর জন্য প্রযোজ্য হলো ২.৪ হতে ৬.০ mg/dl। তবে এই নিদৃষ্ট মাত্রার চেয়ে যদি অ্যাসিডের মাত্রা বেশি হয় তাহলে তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক।





ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যাপেল সাইড ভিনেগার খুবই কার্যকর। ১ চামচ অ্যাপেল সাইড ভিনেগারে ১ গ্লাস জলের সাথে মিশিয়ে নিবেন। এবার এই পানীয় দিনে ২ হতে ৩ বার পান করুন। তবে জৈব বা অর্গানিক ভিনেগার হলে তা ভালো কাজ করে থাকে।





টানা কয়েক সপ্তাহ এই পানীয় পান করুন। দেখবেন আপনার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে। এরপরও যদি কোন কারণে আপনার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমে না যায় তবে। দেড়ি না করে অবিলম্বে নিকটস্থ চিকিৎসকের শরনাপন্ন হন।কেননা দেড়ি করে ফেললে আপনি নানা প্রকার বাত, ব্যাথাতে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই সময় থাকতেই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়াই উত্তম।









