নানা পারিপাশ্বিক অবস্থার কারণে আমাদের দেহের রক্ত দুষিত হয়ে যায়। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পরিবেশ এবং খাবারে উপস্থিত নানা প্রকার বিষাক্ত উপাদান সরা দিন ধরে প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে । আর যখন রক্তে এই্সব বিষাক্ত উপাদান এর মাত্রা বেড়ে যায়, তখন একের পর এক রোগ এর প্রকোপ শুরু হয় মানব শরীরে।





আমরা শরীরের রক্ত প্রাকৃতিক উপায়ে পরিস্কার করতে পারি কিছু ঘরো পদ্ধতি অবলম্বন করে। ফলে রক্তে আর কোন দুষিত পদার্থ জমা হওয়ার সুযোগ থাকবে না। আর রক্ত বিশুদ্ধ থাকলে শরীর থাকবে চাঙ্গা।চলুন তবে দেখে নেওয়া যাক সেই ঘরোয়া পদ্ধতি:





১। বাদাম: গবেষেণায় প্রমাণিত যে, নিয়মিতভাবে একমুুঠো বাদাম খাওয়া শুরুর করলে শরীরের ভিতবের ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং ভিটামিন ই এর ঘাটতিও দূর করে। যার প্রভাবে রক্তে উপস্থিত দুষিত পদার্থ শরীর হতে বের হয়ে যা। ফরে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের ভিতরে বিষাক্ত উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার সুুযোগ কমে যায়। আর সেই সাথে শরীর এর নানাবিধ রোগ হওয়ার প্রবণতা হতে মুক্ত থাকে।





২। ব্রকলি: ব্রকলিতে রয়েছে ডিটক্স এজেন্ট বা ময়লা বের করে দেওয়ার উপাদান। তাই রোজ ব্রকলি খেলে রক্তে ময়লা জমার কোন আশঙ্কা থাকে না। কেননা এটি আপানার শরীরের দূষিত রক্ত বের করে দেয় এবং কোন দূষিত রক্তকে জমা থাকতে দেয় না।





৩। বিটরুট: এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট , যা শরীরকে নানা ক্ষতিকর উপাদানের হাত হতে রক্ষা করে। শুধুু তাই নয়, লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিটরুটে জাবাব নেই। বিটরুটের প্রভাবে লিভার চঙ্গা হলে শরীর থেকে বিনা বাঁধায় ক্ষতিকর সব বিষাক্ত উপাদান খুব সহজে বেরিয়ে যায়।





৪। লেবু: শরীরে ক্ষতিকর টক্সিনের মাত্রা যত বৃদ্ধি পাবে শরীরেও তত বেশি ময়লা জমে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। লেবু বিভিন্নভাবে শরীর হতে এই সব বিষাক্ত উপাদানগুলিকে বের করে দিতে সহায়ক। লেবুুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে উপস্থিত বিশেষ কিছু এনজাইমগুলি শরীরে উপস্থিত বিষাক্ত পদার্থগুলিকে দ্রবনীয় উপাদানে পরির্বতিত করে দেয়। যারফলে সেগুলি সহজেই শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে পারে। আর শরীরে টক্সিনের মাত্রা যত কম, তত বেশি রক্ত বিশুদ্ধ থাকবে।





৫। আদা: আদা যদিও মশলা হিসেবে ব্যবহার হয় তথাপি আদিকাল হতে আদা নানা রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়ে আসছে। আদায় রয়েছে কাকির্উমিন নামক অ্যান্টি আক্সিডেন্ট যা রক্তকে শুদ্ধ করার পাশাপাশি একাদিক রোগের প্রকোপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই রোজ অল্প করে কাঁচা আদা খাওয়া যায়, তাহলে কিডনি এবং হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, যারফলে শরীর হতে বিষাক্ত পদার্থ বেশি মাত্রায় বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।





৬। করলা:করলা যেমন স্বাদে তেঁতো ঠিক তেমনি রক্ত বিশুদ্ধ করতে এর জুড়ি নেই। করলা জাতীয় তেঁতে খাবার রক্ত বিশুদ্ধ করতে করতে সক্ষম। করলায় রয়েছে প্রচুুর পরিমাণে ডিটক্সিফােইং উপাদান, যা রক্ত হতে ক্ষতিকর উপাদান টেনে শরীর হতে বের করে দিতে পারে।। ফলে সোরিয়ায়িস এবং ব্রণের মতো ত্বকের রোগের প্রকোপ যেমন কমে তেমনি নানা ধরণের জটিল শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা থাকে না।





৭। আমলকি: রক্ত বিশুদ্ধ করতে আমলকির কোন বিকল্প নেই। সেই সাথে নানা প্রকার শারীরেক সমস্যা দূর করতে সক্ষম এই আমলকি। তাই যদি আপনি শরীর সুস্থ রাখতে চান তাহলে নিয়মিত খান আমলকি। সূত্র: কালেরকণ্ঠ









