Image: 123rf

যে কারণে গ্যাসের সমস্যা হয় এবং গ্যাস হলে করণীয়

হজমের সমস্যায় পড়েননি এমন মানুষ হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে না। আবার তার সাথে যদি হয় অম্বল বা গ্যাস তা হলে তো আপনার জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠবে। শুরু হয়ে গেছে পুজো। পুজোর মৌসুমে ফুচকা, ভেলপুরি থেকে ফিশ ফ্রািই, বিরিয়ানীসহ আরও কত নান পদের খাবার আমাদের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। আর এই সসব সমস্যা যদি একবারে শরীরে চেপে বসে তাহলে তো বিপদ! সাধারণত

মানুষের শরীরে যে অম্বল তাকে তার অনেক গুণাগুন রয়েছে। এই অম্বল ক্ষারের ভারসাম্য হয়ে শরীরের অ্যাসিডিটির পরিমাণ বাড়িয়ে তোলে। আর এই ইনটেস্টাইন নামক এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা খাদ্য হজম করতে সহায়তা করে থাকে।

এই অ্যাসিডিটির কারণ ইনটেস্টেটাইন ব্যাকটেরিয়া মারা যায় ফলে আপনার হজম শক্তি একবারে কমে যায়। তাই মনে রাখতে হবে প্রোটিন জাতীয় খাবার হজমে প্রয়োজন অ্যাসিডিটি। হয়ত অনেক সময় টুকটাক ভাজাপোড়া খাওয়ার কারণে অম্বল হতে পারে। ধরুন বিকেলের দিকে ক্ষিদে পেয়েছে, আপনি ধুপ করে একটা সামুচা খেয়ে নিলেন। তারপর এক কাপ চা পান করলেন, খানিক বাদে হয়ত অন্য কিছু মুখে পুরে চিবোতে লাগলেন। এতে করে কিন্তু গ্যাসের সমস্যা বৃদ্ধি পাবে। ফরে অ্যাসিডের পরিমাণ অতিরক্তি হলেই বুক জ্বালা-পোড়ার মত সমস্যা দেখা যায়। সাধারণত বেশির ভাগ বদজ, গ্যাস, অম্বলের সমস্যায় মনুষজন গণহারে গ্যাসের ওষুধ সেবন করে।

এই গ্যাসের ওষুধ অ্যাসিডের ব্যালেন্স নস্ট করে দেয়। ফলে শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়। যার কারণে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়, কিডনির মত জটিল অঙ্গের সমস্যাও হয়ে থাকে। রোজ আপনি নিদৃষ্ট সময়ে খাবার খান। এতে শরীরে হজমের ব্যালেন্স স্বাভাবিক থাকবে। খাবারের মধ্যে কিছু পরিমাণ প্রোটিন রাখতে ভুলবেন না। এতে অ্যাসিড কাজে লেগে যাবে। তবে প্রোটিন মানেই মাংস নয় কিন্তু! দুধ ডাল, ছানা, পণির ইত্যাদি নিয়মিত পাতে রাখার চেষ্টা করুন। আপনি যখন খাবার খেতে বসবেন ঠিক তার ১০ মিনিট আগে এক গ্লাস জল খেয়ে নিবেন। এতে অতিরিক্ত অ্যাসিড ওয়াশ আউট হয়ে যাবে।

ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা হয়ে রেহাই পাবেন। যাদের এই অ্যাসিডির সমস্যা রয়েছে, তাদের অ্যান্টাসিড জাতীয় ওষুধ প্রতিদিন ১ টি করে সেবনের পারমর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে এই অ্যান্টিসিড ওষুধ রাতে খাবার আগে খাবেন। তাহলে সেটি বেশি ফলপ্রসূ হবে। কেননা রাতে খেলে অ্যাসিডের রিএকশন হওয়ার সম্ভবনা অনেক কম। বাঁধাকপি, ফলকপি, পেয়াজ, রুটি পালংশাক ইত্যাদি খাবারে গ্যাস বেশি হওয়ার সম্ভবনা।

এই ধরণের খাবার খেতে হলে দিনের প্রথমভাগে খাওয়া উচিৎ। রাতে রুটি খেলে তা রাত ৯ টার মধ্যে সেরে নিতে হবে। খেয়ে উঠে হালকা হাঁটার অভ্যস গড়ে তুলুন। কেননা এটি আপনার গ্যাসের চাপ কমাতে সহায়তা করবে। দুধ জাতীয় খাবার যেমন: দুধ, পণির, দই, ছানা, চিজ খেলেও গ্যাসের সমস্যা হয়ে থাকে। অনেকে মনে করে থাকেন যে, গ্যাস হলেই অম্বল হবে। গ্যাস হলে অম্বল নাও হতে পারে। রোজকার খাবার খাওয়ার সময় আমরা অনেক ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেয়ে থাকে। এ জন্য ল্যাকটো এনজাইম খেয়ে নিতে পারেন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *