ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার পর দেরিতে বোঝার কারণে অনেক রোগী বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। এ কারণে কিছু লক্ষণ টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিস টেস্ট করানো জরুরি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন ডায়াবেটিস অশনাক্ত থাকলে বা চিকিৎসা না হলে কিডনি, লিভার, চোখ
ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সঙ্গে ত্বক নষ্ট হয়ে যায় ও চুল পড়ে যায়। বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান বলেছেন, ডায়াবেটিস আছে এমন রোগীর অন্তত ৫০ শতাংশ জানেন না যে, তার ডায়াবেটিস আছে। এ কারণে ডায়াবেটিস সম্পর্কে সবার
সচেতনতা বৃদ্ধি খুব জরুরি। যেসব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন- ১. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া ও পিপাসা লাগা। ২. ‘দুর্বল লাগা’ ঘোর ঘোর ভাব আসা। ৩. ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া। ৪. সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না হলে রক্তের শর্করা কমে হাইপো হওয়া। ৫. মিষ্টিজাতীয় জিনিসের প্রতি আকর্ষণ
বেড়ে যাওয়া। ৬. কোনো কারণ ছাড়াই অনেক ওজন কমে যাওয়া। ৭. শরীরে ক্ষত বা কাটাছেঁড়া হলেও দীর্ঘদিনেও সেটি ভালো না হওয়া। ৮. চামড়ায় শুষ্ক, খসখসে ও চুলকানি ভাব। ৯. বিরক্তি ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠা। ১০. চোখে কম দেখতে শুরু করা। কী করবেন
বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন বলেছেন, যাদের ঝুঁকি রয়েছে, তাদের অবশ্যই বছরে একবার ডায়াবেটিস পরীক্ষা করাতে হবে। ডায়াবেটিস শনাক্ত হলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অবশ্যই।