রসিয়ে-কষিয়ে রান্নায় রসুনের জুড়ি মেলা ভার। তবে সেখানেই থেমে থাকে না তার মাহাত্ম্য। রসনার পাশাপাশি শরীরের নানা উপকারে বিশেষ কার্যকরী রসুন। খেয়ে তো বটেই, এমনকী বালিশের তলাতেও যদি এক কোয়া রসুন রেখে শুতে যান, তবে ফল পাবেন একেবারে হাতেনাতে।
হার্টের সমস্যা, যকৃতের সমস্যা, ঠাণ্ডা লাগা, ধমনী পরিষ্কার রাখা ও রক্ত বিশুদ্ধ করায় আপনার কাছের বন্ধু কাঁচা রসুন। খবর-এই সময় গবেষকদের মতে, রসুন প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। রোজ সকালে খালি পেটে যদি এক কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়া যায়, তবে তা শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, লিভার, পিত্তথলি ও পাকস্থলীকে সুস্থ সবল রাখতে এবং
হজমশক্তি বাড়াতে রসুনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ডায়াবিটিস, হতাশা ও বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধেও রসুনের জুড়ি মেলা ভার। শুধু খেয়েই নয়, রসুনের সংস্পর্শে থাকলেই সে তার কাজ করে চলবে। অনেকেই বলেন, বালিশের নীচে এক কোয়া কাঁচা রসুন রেখে শুলে তার গুণ অপরিসীম। এতে আপনার ঘুম গভীর হবে। দূরে পালাবে হতাশা। পিছু হঠবে নেতিবাচক মানসিকতা। মনের মধ্যে আসবে আশ্চর্য উত্ফুল্লতা।
তাই শরীর ও মন সুস্থ রাখতে সঙ্গী করতে পারেন রসুনকে। তারপরই দেখুন ম্যাজিক। চাকরি না পেয়ে এমবিএ পাশ করেও এই গ্রামগুলোর ছেলেরা সারাক্ষণ ক্রিকেট খেলে! ভারতের উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ আর রামপুরের সীমান্ত। গ্রামের নাম পারসপুরা। শীতের সকাল। জনাকুড়ি যুবক মিলে বল পিটিয়ে চলেছেন। এরা কিন্তু এখন কেউই পড়ুয়া নন। সবাই পড়াশোনার পালা শেষ করে ফেলেছেন। কেউ স্নাতক, কেউবা
স্নাতকোত্তর। কাউর বয়স কুড়ির কোঠায়। কাউর-বা তিরিশ ছাড়িয়েছে। সাত সকালে বাড়ির টুকিটাকি কাজ সেরেই সবাই এসে জড়ো হন মাঠে। শুরু হয় ক্রিকেট।চিন্তা শুধু একটাই। খেলা শেষ হয়ে গেল কী হবে? সারাদিন তো আর করার মতো কিছুই নেই। পড়াশোনার পাল শেষ করে কেউ কেউ চাকরি করতে গিয়েছিলেন শহরে। কিন্তু কপাল ম’ন্দ। মন্দার বাজারে কাজ চলে গিয়েছে। কেউ-বা আবার নোটব’ন্দির সময়ে কাজ
হারিয়েছেন। কেউ-বা এমবিএ পাশ করে চাকরি করতে-করতেও ফিরে এসেছেন গ্রামে। কারণ, শহরে থেকে ওই সামান্য বেতনে আর চালানো সম্ভব নয়। আর তাই গ্রামে ফিরে এসে ধার করে মোষ কিনে দুধের ব্যবসা শুরু করে দিনগুজরান করছেন। স্বপ্নভ’ঙ্গের এই গ্রামগুলোতে তাই ক্রিকেটই হল দুঃস্বপ্নের বাস্তব থেকে মুক্তি পাওয়ার সহজতম ফ্যান্টাসি।