দুধের মত উজ্জ্বল, ফর্সা, মোলায়েম ত্বক পেতে ঘরোয়া ফেসিয়াল
Image: google

দুধের মত উজ্জ্বল, ফর্সা, মোলায়েম ত্বক পেতে ঘরোয়া ফেসিয়াল!

কেমন হয় যদি রঙিন আলোর মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে আপনার ত্বক। খুব সহজ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে, ঘরোয়া এই ফেসিয়ালগুলি

করলেই এই শীতের আগে বাড়িতে বসেই পেয়ে যেতে পারেন উজ্জ্বল ও দীপ্তিময়ী ত্বক। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক- মধু ও দারুচিনির ফেসিয়ালঃ খাঁটি মধুতে রয়েছে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজিং ফর্মুলা। পাশাপাশি দারচিনি কিন্তু অ্যান্টি অক্সিডেন্টের ভরপুর একটি উৎস। আর এই দুটি উপাদান যদি ত্বকে ব্যবহার করেন তাহলে একবার ভেবে দেখুন ত্বকের কতখানি পুষ্টি সম্ভব। কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ দুই টেবল-চামচ

খাঁটি মধুর সঙ্গে এক টেবল-চামচ দারচিনি গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর আঙুলের সাহায্যে আলতো করে মিশ্রণটি সারা মুখে লাগিয়ে নিন। চোখের চারিপাশের এলাকা বাদ দেবেন। মাস্কটি ১৫ মিনিট রাখার পর পানি দিয়ে মাস্কটি তুলে ফেলুন। দই ও লেবুর রসের ফেসিয়ালঃ দই অর্থাৎ ইওগার্ট কিন্তু ত্বকের ওপেন পোরসগুলি সংকুচিত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, যা ত্বককে উজ্জ্বল করে

তুলতে সাহায্য করে। লেবু এবং দই দুটিই ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে ব্লিচিং-এর কাজ করে থাকে। আর এই দুটি উপাদানের মিশেলে আপনার ত্বকের জেল্লা বেড়ে যেতে পারে দু-গুণ বেশি। কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ আধ কাপ দই ও হাফ পাতিলেবুর রস একসঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি গোটা মুখে এবং ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। এইভাবে মাস্কটি ১০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন। এর বেশি কিন্তু রাখবেন না। দশ মিনিট পর তা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। আলুর রস দিয়ে ফেসিয়ালঃ সামনেই আসছে শীত, তাই চোখের তলায় কালি বিষয়টি কিন্তু একেবারেই বেমানান।

সমস্যা দূর করতে আলুর রস টোনার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। টোনিং কিন্তু ফেসিয়াল করার একটা অন্যতম ধাপ। কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ একটি ছোট আলুর খোসা ছাড়িয়ে সেটির থেকে পেস্ট বের করে নিন প্রথমে। এবার একটি তুলোর বলের সাহায্যে সেই পেস্টটি চোখের চারিপাশে লাগিয়ে নিন। এবার সারা মুখে ভালো করে এটি অ্যাপ্লাই করে হালকা ম্যাসাজ করুন ১০মিনিট। তারপর আরও ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে মুখ ধুয়ে নিন পানি দিয়ে। রাতারাতি তফাৎটা নিজেই বুঝতে পারবেন আলুর ফেসিয়ালের। দই এবং ওটমিল ফেসিয়ালঃ দই ত্বককে উজ্জ্বল

ও দীপ্তিময় করে তুলতে কীভাবে সাহায্য করে সেকথা তো আগেই জেনেছেন। কিন্তু দইয়ের সঙ্গে যদি ওটমিল মেশান তাহলে তা যেমন একদিকে আপনার সান ট্যান এবং পিগমেন্টেশন দূর করতে সাহায্য করবে তেমনই আপনার ত্বকে এনে দেবে লাবণ্য। কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ দু-টেবল চামচ দইের সঙ্গে, এক টেবল চামচ ওটস মিশিয়ে নিন। ততক্ষণ মেশাতে থাকুন যতক্ষণ না মিশ্রণটি মিহি হয়ে আসছে। এরপর মিশ্রণটি আপনার মুখে ঘাড়ে পিঠে আলতো হাতে লাগিয়ে নিন এবং মাসাজ করতে থাকুন। এইবাবে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঈষদউষ্ণ

পানিতে দুয়ে ফেলুন। এতে আপনার ত্বক দেখতে লাগবে প্রাণোজ্জ্বল। টমেটো ও দুধের মিশ্রণ দিয়ে ফেসিয়ালঃ টমেটোতে থাকে লাইকোপেন যা ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারী। টমেটো ত্বকের বলিরেখা দূর করে ত্বককে টানটান মসৃণ করতে সাহায্য করে পাশাপাশি দুধের সর ত্বকের ট্যান দূর করতে এবং ত্বকের আর্দ্রভাব বজায় রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। আর এই দুইয়ের মিশ্রণে আপনার ত্বক হয়ে উঠতে পারে আরও

আরও বেশি আকর্ষণীয়। কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ দু-টেবল চামচ টমেটো রস এবং আধ কাপ পরিমাণ কাঁচা দুধ খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর সেই মিশ্রণটি আলতো হাতে তুলোর বলের সাহায্যে মাস্কের মতো করে গোটা মুখে লাগিয়ে নিন। এইভাবে ২০ মিনিট মতো রাখার পর ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে নিন এবং চটজলদি একটা ফ্রেশ লুক পান।

Check Also

খুশকির সমস্যা চিরতরে দূর হবে এই ঘরোয়া টোটকায়

খুশকির সমস্যা চিরতরে দূর হবে এই ঘরোয়া টোটকায়

শীতকালে অনেকের চুলেই খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। খুশকি কেবল চুলকে ময়লাই দেখায় না, চুলের বিভিন্ন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *