ব্রণ, আঁচিল, দাঁতসহ কলার খোসার অসাধারণ কিছু ব্যবহার
Image: gogole

ব্রণ, আঁচিল, দাঁতসহ কলার খোসার অসাধারণ কিছু ব্যবহার! যা আপনি জানেন না

আমরা অনেকেই হয়তো জানি না কলার খোসার কত গুন রয়েছে৷ অধিকাংশ সময়ই আমরা কলার খোসা ফেলে দিই ডাস্টবিনে৷ অবিশ্বাস্য হলেও একথা এখন প্রমাণিত যে কলার খোসাতেই হতে পারে নানাবিধ সমস্যার সমাধান৷ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন আপনি এই

খোসাকে। সকলের কাছে কলা অধিক রক্তচাপ ও হৃদরোগের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল হিসেবে পরিচিত হলেও এর খোসাতেও রয়েছে নানাবিধ উপকার৷ জেনে নিন পাকা এবং কাঁচা কলার খোসার অভিনব কিছু ব্যবহারঃ

১.দাঁত সাদা করতেঃ দাঁতের হলদে ভাব অনেকেরই সমস্যা ও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ার কারণ হয়ে থাকে। এই সমস্যার সমাধান করতে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। দু’মিনিট ধরে কলার খোসার ভেতরের দিকটা দাঁতে ঘষতে থাকুন । এরপর পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে ফেলুন। মাত্র সাত দিনেই দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।
২.আঁচিল দূর করতেঃ অনেকেই শরীরে অতিরিক্ত আঁচিল নিয়ে অনেক বিব্রত থাকেন। কলার খোসা এই আঁচিল দূর করতেও সাহায্য করতে পারে। কলার খোসার ভিতরের অংশ আঁচিলের ওপর রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যাবে। তবে সাত দিনের মধ্যে এ পদ্ধতিতে আঁচিল পড়ে না গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

৩.ব্রণ দূর করতেঃ ব্রণকে দ্রুত দূর করতে সাহায্য করে কলার খোসা। কলার খোসার ভিতরের অংশটি দিয়ে ব্রণের উপর ঘষতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন ব্রণ মিলিয়ে গেছে।
৪.মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ঃ মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ের ফলে ত্বকে এক ধরনে জ্বালা বা চুলকানি হয়। এই জ্বালা বা চুলকানি থেকে তাৎক্ষণিক রক্ষা পেতে চাইলে কলার খোসার ভিতরের দিক ওই স্থানে ঘষুন। দেখবেন জ্বলুনি বা চুলকানি একদমই কমে গিয়েছে।

৫.জুতো চকচকে করে তুলতেঃ হাতের কাছে শু পলিস না থাকলে শু পলিসের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। প্রথমে জুতায় ময়লা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে নিন। এবার পাকা কলার খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে জুতোর উপরে ঘষুন অন্তত পাঁচ মিনিট। নিজেই দেখবেন যে চকচকে হয়ে উঠতে শুরু করেছে জুতো। এবার একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে জুতা জোড়া ভালো করে মুছে নিন।

৬.সিডি বা ডিভিডির স্ক্র্যাচ দূর করতেঃ সিডি বা ডিভিডিতে কিছুদিনের মধ্যেই স্ক্র্যাচ পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে সিডি চলতে চায় না, ডিভিডির ভিডিও আটকে আটকে যায়। এ সমস্যা সমাধান করতে পারে কলার খোসা। কলার খোসার ভিতরের অংশটি দিয়ে সিডি বা ডিভিডিটি ভালো করে ঘষে নিন। দেখবেন স্ক্র্যাচ একেবারেই চলে গিয়েছে। এবং সিডি বা ডিভিডিও চলছে আগের মতোই৷
৭.খাবার হিসেবেঃ কাঁচা কলা খাওয়া হয় সবজি হিসেবে। এর ফেলা দেয়া খোসাও খাওয়া যায় খাবার হিসেবে। কাঁচা কলার খোসার উপরের আঁশ ফেলে দিয়ে কুচি করে নিন। এরপর এটা ভাঁপিয়ে নিন। এর সাথে শুকনো মরিচ ভাজা, পেঁয়াজ, রসুন ও সরিষার তেল দিয়ে বেটে নিন। হয়ে গেল চমৎকার ভর্তা। চাইলে এর সাথে ছোট চিংড়ি মাছও ভেজে যোগ করতে পারেন।

Check Also

আকর্ষণীয় ফিগার

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে চাইলে যা করবেন

আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ। যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *