একেক মানুষের ঘুমের অভ্যাস একেক রকম। কেউ কোলবালিশ নিয়ে ঘুমাতে পছন্দ করেন, কেউ আবার করেন না। এই ব্যাপারটি সম্পূর্ণই আলাদা। তবে জানলে অবাক হবেন যে, কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর রয়েছে কিছু আশ্চর্য উপকারিতা। চিকিৎসকরা শারীরিক কিছু জটিলতায়
কোলবালিশ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কোলবালিশ ব্যবহারের চারটি স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে-
১. সঠিক নিয়মে শোয়ার অভ্যাস হয়- যারা কোলবালিশ ব্যবহার করেন না তারা স্বাভাবিকভাবেই এক হাঁটু এক জায়গায় অন্য হাঁটু আরেক জায়গায় রেখে ঘুমান। এভাবে হাঁটুর ব্যথ্যা এবং রক্ত চলাচলের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু কোলবালিশ নিয়ে ঘুমানোর ফলে এ সমস্যা থেকে মু্ক্ত
থাকা যায়। কোলবালিশ নিয়ে ঘুমালে সঠিক নিয়মে শোয়ার অভ্যাস হয়।
২. শরীরের রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখে- দুই পায়ের মাঝে কোলবালিশ দেওয়ার ফলে দুটি পা রান ও হাঁটুর দিক থেকে মিলে যায় না। এ কারণে শরীরের রক্তচলাচল স্বাভাবিক থাকে, এমনটাই দাবি করছেন গবেষকরা। এক্ষেত্রে তাদের ব্যাখ্যা হলো, যারা কোলবালিশ ব্যবহার করেন না,
তাদের দুই হাঁটু একত্রে মিলে থাকে। এতে করে মাজার উচ্চতা থেকে পায়ের দিকের উচ্চতা কমে যায় এবং রক্ত চলাচলে বাধা পায়।
৩. হাঁটুর সমস্যা থেকে মুক্তি কোলবালিশ দুই পায়ের মাঝে থাকার ফলে মেরুদণ্ডের সঙ্গে হাঁটুর হাড়ের চাপ স্বাভাবিক থাকে। ফলে এ অভ্যাস সহজেই হাঁটুর ব্যথার সঙ্গে আপনার দেখা করাবে না।
৪. নাক ডাকা সমস্যার সমাধান- যারা কোলবালিশ নিয়ে ঘুমান তারা ডান কাত অথবা বাম কাতে ঘুমান। আর এর ফলে নাক ডাকা সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। যাদের নাক ডাকার অভ্যাস আছে, তারা চিৎ হয়ে শোয়ার ফলে নাক ডাকেন।