দীর্ঘদিন ধরে কোমর ব্যাথায় ভুগছেন? বুঝতেই পারছেন না কি করলে নিষ্কৃতি পাবেন এই যন্ত্রণা থেকে? আসলে কোমর ব্যাথা যাদের হয়, তারাই বোঝেন কতটা কষ্ট তাঁদের ভোগ করতে হয়, নিজেকে কতটা অসহায় লাগে এই ব্যাথার কারণে। তবে, শুধুমাত্র কোমর ব্যাথা নয়, শরীরের যে





কোনও যন্ত্রণাতেই আমরা খুব সহজেই কাহিল হয়ে পড়ি। ফলে হাঁটাচলা তো বটেই, বিঘ্নিত হয় আমাদের দৈনন্দিন জীবনও। শরীরের যে কোনও রকম ব্যাথায় সবথেকে বেশী আক্রান্ত হন ৬০ বছর বা তার অধিক বয়সদের মহিলা এবং পুরুষেরা।কোনও কোনও সময় এই ধরণের ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে তাঁদের অপারেশনের শরণাগতও হতে হয়। বলা হয়ে থাকে যে, কোমর ব্যাথাই আমাদের শরীরের সবথেকে খারাপ ধরণের





ব্যাথা। কারণ কোমরই আমাদের হাঁটাচলা, কোমর বাঁকানো, ঝোঁকানো এমনকি বসতে সাহায্য করে। তাই কোমরের ব্যাথা মানে সারা শরীরেরই কষ্ট।কোমরের ব্যাথাতে যে কোনও রকমের ছোটখাটো কাজ করতেও অসুবিধা হয়। যে কোনও মানুষই নানা কারণে কোমর ব্যাথায় আক্রান্ত হতে





পারেন। যেমন- হঠাৎ কোনও চোট পাওয়া থেকে পরবর্তী কালে কোমরে ব্যাথা হওয়া, ভুল জীবনযাপনের দ্বারা, বসা এবং হাঁটার সময় শরীরের চালনা, দুর্বল হাড়, বার্ধক্যের সমস্যা, বাত ইত্যাদি। যদি কোনও মানুষ কোমর ব্যাথা বা অন্য যে কোনও রকম ব্যাথায় সময় থাকতে চিকিৎসা না করান, তাহলে পরবর্তী ক্ষেত্রে তার চিকিৎসা করানো খুব মুশকিল হয়ে যায়।তাইতো কোমর ব্যাথাসহ অন্যান্য যে কোনও ব্যাথায় আক্রান্ত





হলে আগেই চেষ্টা করুন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে। যাতে ব্যাথার সঠিক কারণ আপনি জানতে পারেন। তবে, বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় ডাক্তাররা কোমর ব্যাথায় পেইনকিলার দেন, যা সাময়িক ভাবে ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে, কিন্তু শরীরে আরও নানা রকমের সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই ঘরে বসেই কিভাবে কোমরের ব্যাথাকে কাবু করা যায়, তারই হদিশদেবে আজ বোল্ডস্কাই। উপাদান: ১. ল্যাভেন্ডার তেল- ৮-১০





ফোঁটা ২. পিপারমিন্ট বা পুদিনা তেল- ৮-১০ ফোঁটা এই দুটি তেল দুটি ঠিক মতো ব্যবহার করলে মাত্র দু সপ্তাহের মধ্যে কোমর ব্যাথা উধাও হয়ে যাবে। তবে, শুধুমাত্র তেল ব্যবহার করলেই চলবে না। একই সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। এক্ষেত্রে অতিরিক্ত তেল এবং ভাজাভুজি জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। কারণ এই ধরণের খাবার শরীরের খারাপ করে।ছাড়াও প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করতে হবে। এর





ফলে কোমরের ব্যাথা সহ অন্যান্য ব্যাথা থেকেও মুক্তি মিলবে। সেই সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ তো নিতেই হবে। প্রসঙ্গত, ল্যাভেন্ডার তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ত্বকের ভিতরে ঢুকে ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এরফলে ব্যাথা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় অন্যদিকে, পিপারমিন্ট তেল রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। ফলে ফোলাভাব এবং ব্যাথার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ঘরোয়া ওষুধটি তৈরি করার





পদ্ধতি: ১. একটি বাটিতে উপরোক্ত পরিমাণে দুটি তেল একটি বাটিতে নিতে হবে। ২. ভালো করে মেশাতে হবে। ৩. এবার এই মিশ্রণটি আপনার কোমরে ভালো করে মালিশ করতে হবে। ৪. সবথেকে ভালো হয় যদি কেউ আপনার কোমরে এই তেলটি লাগিয়ে মালিশ করে দেয়। সূত্র: বোল্ডস্কাই বাংলা









