গরমে আম-জামের পাশাপাশি কাঁঠাল অন্যতম। যদিও এই ফল অনেকেরেই না-পসন্দ। কিন্তু এর বীজের পুষ্টিগুণে জানলে খাওয়ার ইচ্ছে কিন্তু বাড়তেই পারে। ফলের মতোই, সমান উপকারি। পুষ্টিবিদের মতে কাঁঠাল খাওয়ার পর বীজগুলো একেবারেই ফেলে দেবেন না। স্বাদ
ছাড়াও এই ফলের আরও একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা খুব কম মানুষই জানেন। এই ফলের বীজের এতটাই পুষ্টিগুণ যার কারণে একে বাদামের সঙ্গে তুলনা করা হয়। কাঁঠালের বীজের উপকারী গুণাবলি সেলিব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর তার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার
করেছেন। এই ভিডিয়োতে কাঁঠালের বীজের উপকারিতা এবং সেগুলি কী ভাবে সেবন করবেন সে সম্পর্কেও বলছেন। আসুন জেনে নিন কেন কাঁঠালের বীজ ফেলবেন না?
1. শরীর সজীব রাখে – কাঁঠালের বীজে ভিটামিন বি পাওয়া যায়। যা সার্বিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রধান ভূমিকা পালন করে। এটি শক্তির মাত্রা, শরীরের মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এবং সুস্থ কোষ গঠনে সাহায্য করে।
2. হজম, চুল ও ত্বকের জন্য উপকারী- কাঁঠালের বীজ ফাইবার সমৃদ্ধ যা হজম, বিপাক এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি এটি ত্বক ও চুলকেও সুস্থ করে তোলে।
3. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়- ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই চাহিদা পূরণে, কাঁঠালের বীজ আপনার জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
4. কাঁঠালের বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে- যা আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করে, যা আরও বেশি লোহিত রক্তকণিকা গঠনে সাহায্য করে।
5. প্রোটিন সমৃদ্ধ- আপনি যদি প্রায়ই ক্ষুধার্ত বোধ করেন এবং আপনি কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প খুঁজছেন, তাহলে আপনি কাঁঠালের বীজ খেতে পারেন। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা আপনার পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা অনুভব করে।
6.কাঁঠালের বীজ দুটি উপায়ে খাওয়া যেতে পারে- কাঁঠালের বীজ ১০-১৫ মিনিট সিদ্ধ করার পরে, এটি খোসা ছাড়িয়ে খান। অথবা কাঁঠালের বীজ নুন দিয়ে বা ঘিয়ে ভেজে খেতে পারেন।