এ সময় যে ৬ ধরনের জ্বর থেকে সর্তক থাকবেন
Image: google

এ সময় যে ৬ ধরনের জ্বর থেকে সর্তক থাকবেন

বর্ষায় বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ বেড়ে যায়। ফলে এ সময় ছোট-বড় সবার মধ্যেই বাড়তে থাকে জ্বরের প্রকোপ বাড়তে থাকে। ম্যালেরিয়া, টাইফয়েড থেকে শুরু করে ডেঙ্গুর সঙ্গে অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন মৌসুমী জ্বর-সর্দিকে। অনেকে ভাইরাল ফিভার বা ভাইরাসজনিত জ্বর ভেবে অনেক সময়

গুরুতর বিভিন্ন রোগের লক্ষণকে অবহেলা করেন। তবে বিশেষজ্ঞরা এখনকার জ্বর নিয়ে সতর্ক থাকতে বলছেন। কারণ কোভিড, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এমনকি টাইফয়েডও হতে পারে জ্বর।তাই এখন জ্বর হলে সাধারণ ভেবে এড়িয়ে যাবেন না। বিশেষ করে এ সময় ৬ ধরনের জ্বর থেকে থাকতে হবে সাবধান-

1. ডেঙ্গু- বর্ষায় মশাবাহিত এই রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে। এর প্রধান লক্ষণই হলো তীব্র জ্বর, গাঁটে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, মাথা ঘোরা, জ্ঞান হারানো ও কাঁপুনি। এই রোগের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা কিংবা ওষুধও নেই। তাই রোগীকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরলজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ডেঙ্গু কারও কারও ক্ষেত্রে প্রাণঘাতীও হয়ে ওঠে।
22. ম্যালেরিয়া- ম্যালেরিয়া সাধারণত পরজীবী বা প্যারাসাইটের কারণে ঘটে। এক্ষেত্রে ম্যালেরিয়ার জীবাণু আছে এমন মশার কামড়ে মানুষের শরীরে ওই জীবাণু প্রবেশ করে। এর উপসর্গগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো তীব্র কাঁপুনি, মাথাব্যথা, সারা শরীরে ব্যথা ইত্যাদি। ম্যালেরিয়া জটিল আকার ধারণ করলে মস্তিষ্কও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। একই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, লো ব্লাড সুগার এমনকি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পর্যন্ত বিকল হয়ে যেতে পারে।

3.চিকুনগুনিয়া- কয়েক বছর আগেও দেশে চিকুনগুনিয়া মারাত্মক আকার ধারণ করে। সংক্রমিত কোনো মশার কামড়ে চিকনগুনিয়া মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে অল্প সময়ের জন্য জ্বর থাকে একই সঙ্গে গাঁটে তীব্র যন্ত্রণা বাড়ে।
4. টাইফয়েড- খাবারের বিষক্রিয়া কিংবা সংক্রমিত পানি পানের ফলে টাইফয়েডের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে। এর উপসর্গের মধ্যে অন্যতম হলো জ্বর, বমি ভাব ও ডায়রিয়া। টাইফয়েড হলো একটি ব্যাকটেরিয়া ঘটিত সংক্রমণ। এই রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করে। গুরুতর ক্ষেত্রে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

5. ভাইরাসঘটিত জ্বর- বর্ষায় মৌসুমী বা ভাইরাল জ্বরের প্রকোপও বেড়ে যায়। সাধারণত এই জ্বরের সঙ্গে কাশি, সর্দির মতো উপসর্গ দেখা যায়। এক্ষেত্রে সাধারণ অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ খেলেই জ্বর কমে যায়।
6. লেপটোস্পাইরোসিস- মানুষ এমনকি জন্তুও ব্যাকটেরিয়াঘটিত এই রোগে আক্রান্ত হয়। এই রোগ হলে প্রবল জ্বর, মাথাব্যথা, কাঁপুনি, বমি, জন্ডিস, তলপেটে ব্যথা ও ত্বকে র্যাশের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বৃষ্টির জমে থাকা পানি থেকেই ছড়ায় এই রোগ। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রোফাইল্যাক্সিসের মতো অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

বি.দ্র.: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *