মায়াবী চেহারার জন্য মুখে ব্লিচ করুন ঘরে বসেই
Image: google

মায়াবী চেহারার জন্য মুখে ব্লিচ করুন ঘরে বসেই… জানুন স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি

পার্লারে যদি যাওয়ার সময় না পান, তাহলে বাড়িতে বসেই করে নিন ব্লিচ। আর এই সময় পার্লার না যাওয়াই ভাল। তাহলে কীভাবে করবেন? সেটাই তো শেখাচ্ছি আজ। তাই চটপট দেখে নিন স্টেপ বাই স্টেপ গাইড। ১. আগে টেস্ট করে নিন: দোকানে যেসব ব্লিচ কিট পাওয়া যায়,

সেগুলো দিয়েও বাড়িতে সহজেই ব্লিচ করা যায়। এগুলো স্কিনে অ্যাপ্লাই করার আগে, টেস্ট করে নিন। অনেক সময় অনেক ব্লিচ অনেকের স্যুট করে না। তাই আগে দেখে নেওয়া ভালো। কোনটা আপনার জন্য স্যুট করছে, সেটাই লাগান। ২. প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নিন: যেকোনো কিছু শুরু করার আগে, সে বিউটি ট্রিটমেন্ট হোক, বা মেকআপ, মুখ পরিষ্কার রাখা দরকার। নোংরা মুখে কখনোই ভালো ফল

পাওয়া যায় না। তাই এক্ষেত্রেও ব্লিচ শুরু করার আগে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এক্ষেত্রে আপনি যে ফেস ওয়াশ ব্যবহার করেন, সেটাই ব্যবহার করুন। ক্লিনজিং মিল্ক ব্লিচের আগে ব্যবহার না করাই ভালো। নর্মাল ফেস ওয়াশ বা জল দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করলেই হবে। ৩. কীভাবে তৈরি করবেন ব্লিচ: মুখ পরিষ্কার, এবার ব্লিচটা রেডি করুন। ব্লিচ কিটের ভেতর যে ছোট্ট চামচ দেওয়া হয়, একটি পাত্রে ২ চামচ ব্লিচ ক্রিম ও

৩ চিমটে পাওডার নিন। ভালো করে দুটো মিক্স করুন। ৪. কীভাবে অ্যাপ্লাই করবেন: খুব ভালো ভাবে দুটো মিক্স করার পর মুখে লাগান। গলায় ও ঘাড়ে লাগাতেই পারেন। ভালো করে হাতের আঙুল দিয়ে সবদিকে ভালো ভাবে ব্লিচটা লাগান। চোখ ও নাকের নীচটা এড়িয়ে যান। দেখবেন কোনোভাবেই যেন চোখ বা নাকের ভেতর ঢুকে না যায়। তারপর কিছুক্ষণ ওয়েট করতে হবে। যদি স্কিন ফর্সা থেকে মিডিয়াম টোন

হয়, তাহলে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। আর যদি স্কিন টোন ডার্ক হয় তাহলে ১০ মিনিট ওয়েট করুন। তারপর পরিষ্কার সুতির নরম কাপড় জলে ভিজিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। মুখ ভালো ভাবে পরিষ্কার করার পর, মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এছাড়াও যদি ব্লিচ ক্রিম দেওয়া থাকে কিটে, যেটা ব্লিচের পর অ্যাপ্লাই করার জন্য, তাহলে সেটাই লাগান। ৫. কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: ফেসিয়াল কেন করবেন এখন ১৫

মিনিটের বেশী ব্লিচ কিন্তু কখনোই রাখবেন না। যারা ভাবছেন অনেকক্ষণ রাখলে বেশী গ্লো পাবেন, একদমই ভুল ভাবছেন। বরং এটা স্কিনের ক্ষতি করবে। খুব বেশী ব্লিচ কিন্তু স্কিনকে পুড়িয়েও দিতে পারে। তাই সাবধান। যে পাওডারটি দেওয়া হয় সেটি কখনওই বেশী পরিমাণে নেবেন না। শুধু মুখে ব্লিচ করলে, এক চিমটে। আর গলায়, ঘাড়ে, পিঠে করলে দু চিমটে পাওডারই যথেষ্ট। আর প্যাকে অবশ্যই গাইড দেওয়া থাকে

কীভাবে ব্যবহার করবেন, কত পরিমাণে নেবেন ইত্যাদি। সেটা পড়ে নিয়ে ব্লিচ করবেন। ব্লিচ একদম নয়। মানে নিয়মিত ব্লিচ একদমই নয়।
এতে আপনার স্কিন গ্লোয়িং হবার বদলে, স্কিনের স্বাভাবিক গ্লো চলে যেতে পারে। মাঝে মাঝে কোন অনুষ্ঠান উপলক্ষে করা যেতেই পারে। মানে ওই তিনমাসে একবার চলতে পারে। যদি আপনি প্রেগন্যান্ট হন, তাহলে ব্লিচ একদমই নয়। এছাড়াও বাচ্ছাকে ব্রেস্ট মিল্ক খাওয়ালেও ব্লিচ থেকে দূরে থাকবেন। এতে আপনার বাচ্ছার ক্ষতি হতে পারে। যারা ব্লিচ করছেন, চেষ্টা করুন সন্ধ্যাবেলা করার। কারণ ব্লিচ করার পর রোদে বেরোনো

উচিত নয়। আর সন্ধ্যাবেলা এটা থাকে না। আর কিছুক্ষণ পরেই আপনি ঘুমোবেন। যেটা ব্লিচের পারফেক্ট গ্লো দিতে সাহায্য করবে। ব্লিচ করার ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পর্যন্ত মুখ অন্য কিছু দিয়ে আর পরিষ্কার করবেন না। তাই রাতে করুন। ব্লিচ তো মাঝে মাঝে করবেন। কিন্তু রোজ যদি স্কিনে ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং রুটিন করে নেন, তাহলে সারা বছরই গ্লোয়িং ও হেলদি থাকবে। কি, এবার ব্লিচ করতে ভয় লাগছে নাকি? ভয়ের কিছুই নেই। শুধু এই টিপসগুলো মাথায় রেখে ব্লিচ করলে কোনো ক্ষতি নয়, বরং ব্লিচ দেবে একটা এক্সট্রা গ্লো।

Check Also

খুশকির সমস্যা চিরতরে দূর হবে এই ঘরোয়া টোটকায়

খুশকির সমস্যা চিরতরে দূর হবে এই ঘরোয়া টোটকায়

শীতকালে অনেকের চুলেই খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। খুশকি কেবল চুলকে ময়লাই দেখায় না, চুলের বিভিন্ন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *