আপনার রক্তের গ্রুপ ‘O’ হলে এসব খাবর হতে দূর থাকুন
Image: google

আপনার রক্তের গ্রুপ ‘O’ হলে এসব খাবর হতে দূর থাকুন

সর্বজনীন দাতা’ হওয়ায় ‘O’ গ্রুপের মানুষজনের মধ্যে একটা প্রছন্ন গর্ব কাজ করে। নিজেদের ‘উদার’ প্রতিপন্ন করার একটা চেষ্টা থাকেই। তা ওঁরা করতেই পারেন। জাপানের কথাই ধরুন না। জাপানিরা মনে করেন, O গ্রুপের মানুষজন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। যে কারণে

চাকরির ইন্টারভিউয়ে আগে ব্লাড গ্রুপ জানা হয়। যদি O হয় তো সোনায় সোহাগা। বাকিদের থেকে কয়েক কদম এগিয়েই তাঁরা শুরু করেন। এর কারণ হল, O গ্রুপের অসাধারণ দায়িত্বজ্ঞানবোধ। যে কোনও কাজ কাঁধে নিলে, নিশ্চিত ভাবেই তাঁরা উতরে দেবেন। একটা শৃঙ্খলাবোধ

পছন্দ করেন। পরিকল্পনা করে কাজে হাত দেন। গুছিয়ে কথা বলতে পারেন। নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে চলেন। চারপাশ পরিবেশ-পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন। সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারেন। যা-ই করুন, বাস্তবের মাটিতে পা থাকে। আবেগের বশে ভুলভাল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন না। এসব গুণের সমাহারের কারণেই কর্তৃপক্ষ চোখ বন্ধ করে O গ্রুপের লোকজনের উপর ভরসা করতে পারে। মনে করা হয়, এঁদের পূর্বসূরি ছিলেন দক্ষ

শিকারি। ফলে এটা বোঝাই যাচ্ছে, সবাইকে রক্ত দিতে পারেন আর শুধু নিজের গ্রুপের রক্ত নিতে পারেন বলে O গ্রুপের লোকজন ‘অনন্য’ নয়। O গ্রুপের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যর কারণেই তাঁরা ইউনিক। আর একটা কথা, এঁরা কিন্তু সহজাত নেতা। এ তো গেল ভালো দিক। উলটো দিকে এটাও মনে রাখতে হবে, আলসার, সুগার, ওবেসিটি, থাইরয়েডের মতো হাজারো রোগ বাসা বাঁধতে পারে আপনার শরীরে। আর শরীর

ভালো না থাকলে, কিছুই করতে পারবেন না। তাই নিজেকে ফিটা রাখাটা জরুরি। যার জন্য ডায়েটে জোর দিতে হবে। কফি-মদ না ছুঁলেই ভালো, এটা আপনার জন্য বিষের সমতূল্য আপনার ব্লাড গ্রুপ O হলে, ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা উচিত। তার কারণ, O গ্রুপের মানুষজনের মধ্যে এমনিতেই অ্যাড্রেনালিন হরমোনের মাত্রা অন্য গ্রুপের তুলনায় বেশি। এর পর আবার শরীরে ক্যাফেইন (কফি জাতীয়

পানীয়) গেলে অ্যাড্রেনালিন অতি মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। মনে রাখবেন, আপনার রক্তের গ্রুপ O মানেই আপনি হাইপারঅ্যাকটিভ। ইমপালসিভও। বিশেষত যখন স্ট্রেসের মধ্যে থাকেন। এমন পরিস্থিতে সহজেই আপনি মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। এরপর যদি ডায়েট অস্বাস্থ্যকর হয়, তা হলে কথাই নেই। যাকে বলে, বিপাকীয় প্রক্রিয়ার বারোটা। হজমের গন্ডগোল তো আছেই থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগতে পারেন। এমনকী ইনসুলিন

নিয়েও সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাকস্থলীতে অতিরিক্ত অ্যাসিডের উপস্থিতিতে আলসারের সম্ভাবনাও প্রবল। এ ছাড়াও খাওয়া-দাওয়ায় একটু বেহিসেবি হলেই ওজন দ্রুত বাড়বে। আপনি o গ্রুপের ব্যক্তি হলে, শরীর চাঙ্গা রাখতে দিনে অন্তত তিন থেকে চার বার কিছুক্ষণ করে হলেও ব্যায়াম করুন। সূত্র: এই সময়
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *