জেদি বাচ্চাকে শান্ত করুন এই ৪টি সহজ উপায়ে!
Image: google

জেদি বাচ্চাকে শান্ত করুন এই ৪টি সহজ উপায়ে!

বাচ্চারা কাঁদবে, দুষ্টুমি করবে, চিৎকার করবে, জেদ করবে, এগুলো খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু বাচ্চাদের শান্ত করা, খুব সহজ কাজ নয়। এখনকার দিনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বাবা-মা বাচ্চাকে শান্ত করতে টিভিতে কার্টুন চালিয়ে দেন বা স্মার্টফোনের মতো বিভিন্ন গ্যাজেট

হাতে ধরিয়ে দেন। কিন্তু এইভাবে বাচ্চাদের শান্ত করা, খুব ভাল পদ্ধতি নয়। এর ফলে বাচ্চার মোবাইল, টিভির প্রতি আসক্তি আরও বেড়ে যায়।অসংখ্য গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্ক্রিনের দিকে বাচ্চারা দীর্ঘক্ষণ তাকিয়ে থাকলে, বাচ্চাদের চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়

এবং এটি মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই কোনও স্ক্রিন ব্যবহার না করেই, বাচ্চাকে শান্ত করার অন্য উপায় সন্ধান করুন। দেখে নিন কিছু টিপস-

১) আপনি নিজে শান্ত থাকুন আপনার নিজের শান্ত থাকাটা ভীষণ দরকার। আপনি আপনার বাচ্চার ক্রিয়াকলাপে যত বেশি চিৎকার করবেন, বিরক্ত হবেন, আপনার বাচ্চা ততই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠবে। যদি আপনি কোনও প্রতিক্রিয়া না করেন, তাহলে আপনার বাচ্চা নিজে থেকেই

কিছুক্ষণ পর শান্ত হয়ে যাবে এবং আপনার কথা শুনবে।
২) বাচ্চার সঙ্গে খেলুন আপনার বাচ্চাকে শান্ত করতে আপনি তার সঙ্গে খেলতে পারেন। খেলার জন্য বাচ্চারা কখনোই না বলবে না, বিশেষত আপনি যদি তার সঙ্গে খেলতে চান তাহলে সে আরও খুশি হবে। আপনার বাচ্চাকে নানা ধরনের গেম দিয়ে ব্যস্ত রাখুন, দেখবেন সে শান্ত

থাকবে, এমনকি সৃজনশীলও হয়ে উঠতে পারে।
৩) গান করুন অনেক বাচ্চা গান ভীষণ ভালোবাসে। এই পদ্ধতি সত্যিই বাচ্চাদের শান্ত হতে খুব সহায়তা করে। যখন আপনার বাচ্চা কান্নাকাটি, প্রচন্ড দুষ্টুমি, চিৎকার-চেঁচামেচি বা জেদ করবে, তখন আপনি তার প্রিয় গান চালিয়ে দিন। দেখবেন সে কিছুক্ষণ পর শান্ত হয়ে

যাবে।
৪) বুকে জড়িয়ে নিন বা হাগ করুন পরম মমতায় আপনার বাচ্চাকে বুকে জড়িয়ে ধরুন, দেখবেন সে শান্ত হয়ে যাবে। আদর করা বা জড়িয়ে ধরা বেশিরভাগ বাচ্চাই পছন্দ করে। এটি আপনার বাচ্চাকে শান্ত করতে এবং তাদের মানসিক কষ্ট হ্রাস করতে খুবই সহায়ক।

Check Also

আকর্ষণীয় ফিগার

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে চাইলে যা করবেন

আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ। যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *