প্রায় সময় ঘুমের মধ্যে আমাদের মুখে লালার সৃষ্টি হয় । এই লালা আমাদের অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতি ফেলে দেয় । এরূপ পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞরা কয়েকটি নিয়ম-কানুন মেনে চলতে বলেছেন। এই সকল নিয়ম-কানুন মেনে চললে এই অবস্থা থেকে





কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। নিন্মে আমরা ঘুমের মধ্যে লালা ঝরা থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া যায় তা জেনে নেই-





১. ঘুমের ভঙ্গি পরিবর্তন করুন । কেননা মুখ থেকে লালা বের হওয়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণ বলা যায় এটি কে । সঠিক ভাবে না ঘুমালে নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয় । ফলে এই অবস্থায় কষ্ট করে মুখ হা করে নিঃশ্বাস নিতে হয় । এমন কারণে মুখের লালা আরও সহজে মুখ থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ পায়। তাইলে প্রথমে ঘুমের ভঙ্গি পরিবর্তন করে দেখতে হবে মুখের লালা পড়া কমে কিনা।
২. অতিরিক্ত ওজন এবং কম ওজন আপনার মুখের লালা ঝরার মাঝে বাজে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে । ওজন কম না বেশি হলে আপনার ঘুমের মধ্যে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই মুখে লালা পড়া বন্ধ করার জন্য আপনার ওজন ও একটি বড় ফ্যাক্ট হতে পারে।





৩. সাইনাস সর্দি বা সংক্রমনের কারণে অনেক সময় নাসারন্ধ্র গন্থী বন্ধ থাকে ।এতে করে ঘুমের সময় লালা ঝরার সম্ভাবনা দেখা দেয়। অনেক সময় ঠান্ডা এলার্জি জনিত কারণে ও মুখ দিয়ে লালা বের হতে পারে । এই সময় নাক বন্ধ থাকায় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয় বিধায় মুখ দিয়ে লালা নিঃসরণ হয় ।
৪. আপনার যদি স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগ থাকে তাহলে ঘুমের সময় আপনার দেহের শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ করে দেয়। জোর করে নিঃশ্বাস নিতে হয়। যার জন্য আপনার মুখ দিয়ে লালা বের হয়ে থাকে।এই স্লিপ অ্যাপনিয়া একটি ভয়াবহ রোগ হিসেবে গণ্য হয় ।





৫. নিচু বালিশে ঘুমালে বালিশ উঁচু করে ঘুমান । এতে করে আপনার মাথা উঁচু থাকবে এবং আপনার ঘুমাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ হবে ।এভাবে ঘুমালে মুখের লালা পড়া বন্ধ হতে পারে। তাই বলে বালিশ এত উঁচু করবেন না যাতে পরে আপনার ঘুমাতে অসুবিধা হয়। নিজের জন্য আরামদায়ক অবস্থায় অবস্থান করুন।





করণীয়-
সত্যিকার অর্থে বিশেষজ্ঞই ভালো বুঝবেন রোগীকে কী ধরনের চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন। তবে প্রাথমিকভাবে ঘুমের ভঙ্গিমা বদলাতে বলা হয়। যেহেতু অতিরিক্ত লালা বেরিয়ে আসাটাই সমস্যা, তাই এটা কাটাতে লেবুর ছিলকায় খেলে বেশ উপকার মেলে। অনেকে ম্যানডিবুলার ডিভাইস





ব্যবহার করেন। এটা এমন এক যন্ত্র যা মুখে লাগিয়ে ঘুমাতে হয়। এটা ঘুমের সময় মুখ বন্ধ রাখে এবং ঘুমকে আরামদায়ক করে। সমস্যাটা
স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে ঘটলে সিপিএপি মেশিন বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি। এই যন্ত্র কেবল লালা ঝরানোই বন্ধ করবে না, ঘুমকে গভীরে নিয়ে





যাবে। আপনি সঠিক পদ্ধতিতে এবং সুষ্ঠুভাবে ঘুমাচ্ছেন- তা নিশ্চিত করবে সিপিএপি মেশিন। অনেকেই আরো সাহসী চিকিৎসা নিতে চান। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ সঠিক মাত্রার বোটোক্স ইঞ্জেকশন দিয়ে থাকেন। আর সমস্যা গুরুতর হলে শেষ পর্যন্ত সার্জারির পথ তো খোলা আছেই।









