বাবা-মায়ের যে ভুলে সন্তান রাগী ও জেদি হয়ে ওঠে

সন্তান লালন-পালন করা সহজ কাজ নয়। তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে কখনো কখনো কঠোর হতে হয় আবার কখনো ভালোবাসা দিয়ে তাদের মন জয় করতে হয়। তবে কর্মব্যস্ত এই জীবনে বেশিরভাগ বাবা-মা ছোটখাট যে কোনো বিষয় নিয়েই সন্তানের উপর রেগে চিৎকার করেন কিংবা

বকাবকি করে বসেন।জানলে অবাক হবেন, আপনি যতই ভালোবাসুন না কেন আপনার চিৎকার, চেঁচামেচি ও বকাবকি শিশুর মনে রাগ ও জেদের সৃষ্টি করে। এমন পরিস্থিতিতে আপনার নিজের ভুলগুলো মেনে নেওয়া জরুরি। না হলে যত দিন যাবে শিশু আরও রাগী ও জেদি হয়ে উঠবে। আর আপনার শাসনেও কাজ হবে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব সেই অভ্যাসগুলোতে পরিবর্তন আনা জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক

আপনার কোন কোন ভুলে শিশু আরও জেদি হয়ে ওঠে ও কীভাবে তার সমাধান করবেন-
1. শিশু নির্যাতন- আপনি যদি সন্তানের সঙ্গে নম্র গলায় কথা না বলে সব সময় বকাবকি বা চিৎকার করে কথা বলেন তাহলে সন্তানও আপনার ব্যবহার অনুকরণ করার চেষ্টা করবে। একই সঙ্গে আপনার রাগ ও ক্ষোভ শিশুমনেও রাগের জন্ম দেয়। এভাবেই ধীরে ধীরে শিশু

অবাধ্য ও জেদি হয়ে ওঠে। মনে রাখবেন, আপনি যদি সম্মানের সঙ্গে কথা বলেন তাহলে সন্তানও আপনার কাছ থেকে ইতিবাচক আচরণ শিখবে।
2. মেজাজ শৃঙ্খলা- আপনার সন্তান যদি রাগান্বিত হয়, তবে কিছুক্ষণ পরেই তাকে শৃঙ্খলা সম্পর্কে জ্ঞান দিতে হবে। আপনি যদি তাকে খারাপ মেজাজে কিছু শেখান তবে সে আরও বেশি বিরক্ত হবে। এছাড়া মনে রাখবেন, আপনি যদি রাগান্বিত হন তবে প্রথমে শান্ত হন ও পরে তাকে শৃঙ্খলার জ্ঞান দিন।

3. একঘেয়েমি- আপনি যদি সারাদিন শিশুর সামনে একই বিষয় নিয়ে কথা বলেন তাহলে সে বিরক্ত হয়ে যাবে ও আরও জেদি হয়ে উঠবে। তাই একই বিষয় নিয়ে শিশুকে বারবার জেরা করবেন না, তাহলে তাদের মেজাজ নষ্ট হতে পারে।
4. বাড়ির পরিবেশ- যদি আপনার বাড়িতে নেতিবাচক পরিবেশ থাকে ও সারাক্ষণ মারামারি, ঝগড়া বা উত্তেজনা দেখা দেয়, তাহলে তার

প্রত্যক্ষ প্রভাব শিশুর ওপরও পড়ে। এ ধরনের শিশুরা ঘরের বাইরেও রাগ করে থাকে এমনকি মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারে।
5. বাবা-মায়ের আচরণ- যদি বাবা-মায়েরা একে অপরের সঙ্গে সম্মান দিয়ে কথা বলে ও শিশুদের সামনে একে অপরের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাহলে শিশুর ব্যক্তিত্বেও ভালো প্রভাব পড়ে। যখন কোনো অভিভাবক তাদের সন্তানদের একে অপরের সঙ্গে তুলনা করে, তখন

সন্তানের মনে রাগ-ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
6. নেতিবাচক কথা বলা- আপনি যদি সব সময় সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তাহলে শিশুর মনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ফলে শিশুও সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। সূত্র: প্রেসওয়ার ১৮
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।

About Susmita Roy

Check Also

আধার কার্ডে মোবাইল নম্বর আপডেট করার সহজ পদ্ধতি

আধার কার্ডে মোবাইল নম্বর আপডেট করার সহজ পদ্ধতি জেনে নিন

আধার কার্ড ভারতে একটি অপরিহার্য নথি যা অনেক সরকারী এবং অন্যান্য বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয়। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *