ওষুধ ছাড়াই কোষ্ঠকাঠিন্য ও অর্শ্বরোগের ঘরোয়া উপায়ে সমাধান!
Image: google

ওষুধ ছাড়াই কোষ্ঠকাঠিন্য ও অর্শ্বরোগের ঘরোয়া উপায়ে সমাধান!

অর্শরোগ বা পাইলস (হেমোরয়েড) খুব পরিচিত একটি সমস্যা। সমীক্ষা বলছে, ৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এই রোগের প্রভাব বেশি দেখা যায়। তবে এখনকার দিনে এই রোগ আর নির্দিষ্ট বয়সের গণ্ডিতে নেই। মলদ্বারে যন্ত্রণা, রক্ত পড়া, মলদ্বার ফুলে ওঠা, জ্বালা

করা ইত্যাদি অর্শ্বরোগের সাধারণ উপসর্গ। Hemorrhoid চিকিত্সার ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললে অনেকটাই উপকার পেতে পারেন। এই রোগের পাইলসের পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শুরু হয়। আর এর জন্য দায়ী খারাপ জীবনযাপন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁদের এই সমস্যা রয়েছে তাঁদের এই বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। তাই পাইলসের সমস্যা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিন।

কেন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন?
পাইলসের সমস্যা যে কোনও বয়সে হতে পারে। এক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস বা হজমের সমস্যার কারণে পাইলস হওয়া সম্ভব। পাশাপাশি পরিবারে এই সমস্যা আগে থেকে থাকলেও দেখা দিতে পারে সমস্যা। তাই সতর্ক থাকুন। এক্ষেত্রে এই কয়েকটি খাবার অবশ্যই এড়িয়ে

যেতে হবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ফাইবারযুক্ত খাবারের অভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, স্থূলতা, গর্ভাবস্থায়, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকার অভ্যাস-সহ বিভিন্ন কারণে এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পরে। তবে সাধারণত ওষুধ বা অস্ত্রপচারের মাধ্যমে পাইলসের চিকিৎসা হয়ে থাকে। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়েও এই সমস্যার সমাধান করা যায়।

1. বরফ-
ঘরোয়া উপায়ে অর্শ নিরাময় করতে হলে এই উপায়টিই সেরা বলে মনে করা হয়। আসলে বরফ রক্ত চলাচল সচল রাখে এবং ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। একটি কাপড়ে কয়েক টুকরো বরফ পেঁচিয়ে ব্যথার স্থানে ১০ মিনিট রাখুন। এভাবে দিনে বেশ কয়েকবার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
2. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার-
বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি তুলোর বলে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার লাগিয়ে ব্যথার স্থানে লাগিয়ে নিন। শুরুতে কিছুটা জ্বালাপোড়া হবে বটে, কিন্তু কিছুক্ষণ পর কমে যাবে। এটি পদ্ধতিটিও দিনে বেশ কয়েকবার করা যায়। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ অর্শরোগের জন্য এক চা চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার এক গ্লাস জলে মিশিয়ে দিনে দু’বার খেয়ে নিন। এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। দেখবেন অনেকটাই আরাম পাবেন।

​3. জাম খেতে পারেন
আমরা সারাদিনে এমন অনেক খাবার খাই যা সমস্যা তৈরি করতে পারে। জাম গরমের ফল। এই ফলে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ খুব বেশি। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন শরীর ভালো রাখতে পারে। পাশাপাশি এই ফলে রয়েছে নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পাইলসের সমস্যা কমাতে পারে। তাই পাইলসের রোগীরা দিনে ২ থেকে ৩টি জাম খেলেই সমস্যা মিটে যায়। ​
আদা এবং লেবুর রস

4. ডিহাইড্রেশন অর্শরোগের অন্যতম আরেকটি কারণ। এর জন্য আদাকুঁচি, লেবু এবং মধু মিশ্রণ দিনে অন্তত ২ বার খান। এই মিশ্রণটি নিয়মিত খেলে অর্শরোগ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ছাড়া দিনে অন্তত ২-৩ লিটার জল খেলেও অনেকটা উপকার পাওয়া যায়।
5. অলিভ অয়েল খেতে পারেন
প্রতিদিন এক চা চামচ অলিভ অয়েল রোজকার ডায়েটা রাখতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আমাদের শরীরে প্রদাহ দ্রুত হ্রাস করতে সাহায্য করে। অর্শরোগে নিরাময়ের ক্ষেত্রে এটি খুবই কার্যকরী।
ডিসক্লেইমার:এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, আরও বিস্তারিত জানতে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *