শীতকালে অনেকের চুলেই খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। খুশকি কেবল চুলকে ময়লাই দেখায় না, চুলের বিভিন্ন সমস্যাও তৈরি করে। যেমন মাথার চুল পড়া এবং ত্বকে চুলকানির সমস্যা। এছাড়া জামাকাপড় নষ্ট হওয়া তো রয়েছেই। খুশকি সারাতে বাজারে অনেক ধরনের শ্যাম্পু পাওয়া যায়।
কিন্তু সেগুলির রাসায়নিকও চুলের ক্ষতি করতে পারে।অতএব অনেকেই প্রাকৃতিক উপায় খোঁজেন এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে। এই প্রতিবেদনে আপনাকে এমন কয়েকটি আয়ুর্বেদিক উপাদানের কথা বলব যা আপনার চুলের ক্ষতিও করবে না ও খুশকিও সারিয়ে তুলবে।এছাড়াও এগুলির জন্য আপনাকে খুব বেশি অর্থও খরচ করতে হবে না।
১. নিম পাতা- নিম পাতার রস অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাংগাল গুণে সমৃদ্ধ। তাই এটি ব্যবহার করে সহজেই খুশকির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও মাথার চুলের চুলকানির সমস্যারও সমাধান করে এই পাতা। এর জন্য গরম জলে নিম পাতা ফোটাতে হবে। এরপর এই
নিম পাতার জলটি সাধারণ জলের সঙ্গে মিশিয়ে চুল ধুতে হবে। এর ফলে আপনার চুল হবে খুশকিমুক্ত। তবে নিম পাতার রস কখনই শুধু লাগাবেন না। এতে মাথার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
২. রসুন- রসুন শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, চুলের সমস্যারও সমাধান করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিফাংগাল উপাদান। তাই খুশকি থেকে মুক্তি
পেতে এটি ব্যবহার করা যায়। এর জন্য দুই কোয়া রসুন বেটে জলে মিশিয়ে দিন। তারপর সেই জল মাথার চুলে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর চুল ধুয়ে ফেলুন। রসুন বাটা জলে আপনি মধুও ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে চুল দিয়ে রসুনের তীব্র গন্ধ বেরোবে না।
৩. মেথি খুশকির সমস্যা সারাতে মেথিও খুব ভাল কাজ করে। এর জন্য এক বাটি জলে রাত্রিভর মেথির বীজ ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে
সেই জল ফিল্টার করুন। এরপর মেথির বীজগুলি বেটে নিন। এই মেথির বীজ বাটা মাথার ত্বকে মাখুন। এক ঘণ্টা রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। এটি করলে আপনি খুশকির সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।
বিদ্র: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
.