যা না জানলে লজ্জায় পড়তে হয়!- জীবনে চলার পথে আমরা সকলেই চাই মাথা উঁচু করে বাঁচতে। সবাই চাই সমাজে আমাদের একটা সম্মান থাকুক, কেউ যেন আমাদের খারাপ বলতে না পারে,
সর্বোপরি কারো সামনে যেন আমাদের লজ্জিত হতে না হয়। এমন কিছু ব্যাপার আছে, যেগুলোর চর্চা বাঙালিদের মাঝে বেশ কম। আমরা অনেকেই এই ব্যাপারগুলো জানি না, সাথে এটাও বুঝি না যে এগুলো না জানলে সমাজে সবার সামনে লজ্জিত হতে হয়।
চলুন, জেনে নিন এমনই ৭টি বিষয়।
1. জুতো পরার ভদ্রতা: একজন মানুষের জুতো তাঁর ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক। এক জোড়া রুচিশীল জুতোই প্রকাশ করে দেয় আপনার রুচির মান। কেবল ভালো জুতো পরলেই হবে না, জানতে হবে জুতো ব্যবহারের আদব কায়দাও। যেমন, শব্দ করে হাঁটা মোটেও ভালো কিছু নয়। একই সাথে কারো বাড়িতে গেলে জুতো খুলে রাখা, কোথাও প্রবেশের আগে পাপোসে পা মুছে নেয়া, মোজা দুর্গন্ধমুক্ত রাখা ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে সর্বদা।
2. টেবিল ম্যানারস: খাবার টেবিলের এমন কিছু ভদ্রতা আছে, যেগুলো আমরা বাঙালিরা মানি না মোটেও। যেমন অতিথিদের সামনে হাড় না চিবানো, শব্দ করে ঢেঁকুর না তোলা, প্লেট-গ্লাসে খুব বেশি আওয়াজ না করা ইত্যাদি। একই সাথে খাবার টেবিল অপ্রীতিকর কথা না বলা, বোন প্লেটের ব্যবহার, ন্যাপকিনের ব্যবহার ইত্যাদিও জানতে হবে।
3. ছুরি-কাঁটাচামচের ব্যবহার: আমাদের দেশে এখনো ছুরি কাঁটা-চামচের ব্যবহার সেভাবে প্রচলিত হয়ে ওঠেনি। খুব কম মানুষই শতভাগ সঠিকভাবে ছুরি-কাঁটা চামচ ব্যবহার করতে জানেন। কেবল ছুরি-চামচ ব্যবহার করে খেতে পারাই নয়, একই সাথে কোনটা কীসের জন্য এবং কোনটা কখন কীভাবে ব্যবহার করতে হবে সেগুলো জেনে রাখা খুবই জরুরি।
4. হাঁচি-কাশি দেয়ার আদব: হাঁচি ও কাশি দেয়ার সময় মুখে কাপড় ধরা, ‘এক্সকিউজ মি’ বলা, কারো গায়ের ওপরে হাঁচি বা কাশি না দেয়াসহ খুঁটিনাটি অনেক কিছুই জানতে হবে আপনাকে।
5. অন্যকে সম্মান জানাবার কায়দা: বয়স ও সম্পর্ক ভেদে কাকে কীভাবে সম্ভাষণ জানাতে হয়, কাকে কীভাবে সম্মান করতে হয় ইত্যাদি জানাটা খুবই জরুরি। একই সাথে জানতে হবে দশ জনের ভিড়ে কীভাবে আচরণ করবেন, কীভাবে হাসিমুখে নম্রতার সাথে কথা বলবেন।
6. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: একজন মানুষের ব্যক্তিত্বের সবচেয়ে বড় অংশ হচ্ছে তাঁর ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা।
7. শুদ্ধ ও সুন্দর ভাষা: নিজের মাতৃভাষা হোক কিংবা ইংরেজি, শুদ্ধ ও সঠিকভাবে বলতে জানাটা খুবই দরকার। বাংলা নিখুঁত উচ্চারণে শুদ্ধভাবে বলতে পারতে হবে অবশ্যই। একই সাথে ইংরেজি ভাষার ব্যবহার তখনই করুন, যখন আপনি তা শুদ্ধভাবে বলতে পারবেন। উল্টাপাল্টা বলে লোক হাসাবেন না।