বাথরুম সবচেয়ে বেশি নোংরা একটি জায়গা। খুব সহজে এবং দ্রুত এটি ময়লা হয়ে থাকে। বাথরুম পরিষ্কারের এক সপ্তাহের মধ্যে এর টাইলস নোংরা হয়ে যায়। তবে টাইলসের সবচেয়ে বেশি সুবিধা হল এতে মোজা ইকের মত দাগ পরার আশংকা থাকে না। তবে টাইলস সঠিকভাবে
পরিষ্কার করা না হলে এতেও দাগ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে হ্যাঁ, এই টাইলস পরিষ্কার করা বেশ কষ্টকর। কিছু উপায় আছে যা এই কষ্টকর বিরক্তিকর কাজটি সহজ করে দিতে পারে। ১। বাথরুমের মেঝে শুকিয়ে ফেলুন বাথরুম পরিষ্কার করার আগে একটি শুকনো কাপড়
দিয়ে মেঝে, দেয়াল ভাল করে মুছে নিন। এমনভাবে মুছে ফেলুন যাতে বাথরুম একদম শুকিয়ে যায়। এই একটি কাজ বাথরুম ধোয়ার কাজটি আরও সহজ করে দেবে। এতে করে বাথরুমের বাড়তি ময়লা ও তলানি পরিষ্কার করা সহজ হবে। ২। টাইলস ক্লিনার ব্যবহার করুন সম্পূর্ণ বাথরুমের টাইলসে টাইলস ক্লিনার বা টয়লেট ক্লিনার ছিটিয়ে দিন। এবার এই ক্লিনার দিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। লক্ষ্য রাখবেন ক্লিনার
দিয়ে খুব বেশিক্ষণ রাখবেন না। আপনি চাইলে এটি প্রতিদিন করতে পারেন। ৩। শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন টাইলস পরিষ্কার করার জন্য শক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন। শক্ত ব্রাশ দিয়ে টাইলসের মেঝে ভাল করে ঘষুন। পুরোতন অব্যহৃত টুথব্রাশ দিয়ে বাথরুমের কোণাগুলো পরিষ্কার করুন। টাইলসের জোড়া লাগানো স্থানের কোনায় কোনায় ময়লা জমে কালচে দাগ পড়ে, সে স্থানগুলোও টুথব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। ৪।
পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন ব্রাশ দিয়ে ঘষার পর ময়লা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বেশি পরিমাণে পানি ঢালুন যাতে করে বাথরুমের কোনায় কোনায় জমে থাকা ময়লা সব ধুয়ে চলে যায়। ৫। ভিনেগার সমপরিমাণে ভিনেগার এবং জল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার এটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে ফেলুন। এবার এটি দিয়ে টাইলসের উপর বিশেষ করে ময়লা দাগের উপর স্প্রে করুন। এভাবে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। ১৫
মিনিট পর ঘষুন তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনি বেসিন, টাইলস, কেবিনেট সব পরিষ্কার করতে পারবেন। ৬। বেকিং সোডা একটি কাপড়ে বা স্পঞ্জে বেকিং সোডা লাগিয়ে টাইলসের ময়লা দাগের উপর লাগিয়ে নিন। এবার এটি কিছুক্ষণ ঘষুন। এছাড়া বেকিং সোডা
এবং পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি টাইলসে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ঘষুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভিনেগারের পরিবর্তে এটি ব্যবহার করতে পারেন। তেল, চর্বিজাতীয় দাগ পড়ে টাইলস যেন নষ্ট না হয়, সে জন্য যেসব স্থানে দাগ পড়বে সঙ্গে সঙ্গে তা সাবানের
পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নেবেন। এতে দাগ স্থায়ী হবে না। বেকিং পাউডার এবং ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে বাথরুমে ব্যবহার করতে পারেন, এটি বাথরুম পরিষ্কার করার পাশাপাশি জীবাণুমক্ত রাখবে।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।