সকালে খালি পেটে জলের সঙ্গে হিং মিশিয়ে খান
Image: google

সকালে খালি পেটে জলের সঙ্গে হিং মিশিয়ে খান আর দেখুন ফলাফল..

ভারতে সেই আদ্যিকাল থেকেই রান্নায় ব্যবহার করা হয় হিং। তখন তো আর মাছ মাংসের এত বেশি চল ছিল না। ঘিয়ে ভাজা কচুরির সঙ্গে একটু হিং বা কুমড়োর ছক্কার সঙ্গে সামান্য হিং মেশালে তার স্বাদ আর গন্ধ দুই মাতোয়ারা করে দিত। পরবর্তীতে মাছ-মাংসের গন্ধ কাটাতেও

কিন্তু হিং দেওয়া হতো। জলখাবারে খুবই জনপ্রিয় হিং-এর কচুরি। তবে আমাদের দেশে হিং কিন্তু ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। হিং এর প্রভাবে যেহেতু ভালো হজম হয় তাই ওজনও দ্রুত কমে। হিং, আদা, জিরের ভাজা মশলা দিয়ে ঘোল খেতে পারলে ওজন কমে। ওজন

কমানোর প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য হিং জল খাওয়া সবচেয়ে সস্তা এবং সেরা উপায়। এখানে জেনে নিন কীভাবে হিং জল তৈরি করা হয় এবং কখন সেবন করবেন। আসলে, এটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কিন্তু জানেন কি হিং ওজন কমাতেও বেশ উপকারী।

ওজন কমাতে (Weight Loss) হিং জল কী ভাবে উপকার করে?
আমরা সবাই জানি হিং হজমের জন্য খুবই ভালো। আসলে, এটি পাচনতন্ত্র থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয় সহজেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, হিং বিপাকীয় প্রক্রিয়ার জন্যও কার্যকর। কারণ এতে ফ্যাট গলাতে দ্রুত সাহায্য করে। আরও ভালো উপায়ে ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে।

মেটাবলিক রেট যত বেশি হবে, শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি ক্ষয় করার ক্ষমতা তত বেশি। তাই আপনার রোজকার রুটিনে এক চিমটে হিং মিশ্রিত জল পান করুন, দ্রুত ও সহজেই ওজন কমাতে পারবেন। ​

কী ভাবে হিং দিয়ে তৈরি পানীয় (Weight Loss) তৈরি করবেন?
এটা করা খুব সহজ। সবচেয়ে ভালো দিক হল এটি তৈরি করতে হিং ছাড়া অন্য কোনো উপকরণের প্রয়োজন নেই। এটি তৈরি করতে এক গ্লাস গরম জলে আধা চা চামচ হিং গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন।

কখন এই পানীয় খাবেন?
আপনি যদি ওজন কমাতে হিং জল খেতে চান তবে দিনে একবার এটি পান করা যথেষ্ট। ডায়েট বিশেষজ্ঞ ভূমিকা শর্মা পরামর্শ দেন যে সবচেয়ে ভালো উপায় হল সকালে খালি পেটে এটি পান করা। তাহলে দ্রুত ইপকার মিলবে। বিশেষ করে হিং-এর পরিমাণ ও পরিমাপ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সামান্য পরিমাণও স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে।

মনে রাখবেন-
এই পানীয় তৈরির সময় জলে খুব বেশি হিং গুঁড়া যোগ করবেন না বা এর ব্যবহারের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়াবেন না। কারণ এটি হজমের সমস্যা যেমন কমায় তেমনই বেশি প্রয়োগ করলে ডায়রিয়া এবং বেলচিং হতে পারে। আপনি যদি দীর্ঘমেয়াদী ওজন কমানোর (Weight Loss) জন্য হিং খান, তাহলে ঠোঁট ফোলা, ত্বকে ফুসকুড়ি এবং অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের হিং

পরিমাণের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। হিং জলপান করলে আপনি খুব দ্রুত ওজন (Weight Loss) কমাতে পারেন। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং এটি আপনার হার্টে প্রভাব ফেলতে দেয় না। তবে এটি খাওয়ার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জেনে নিন যে কখন এবং কতটা খেতে হবে।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *