কেন টক দই খাবেন? জেনে নিন
Image: google

টক দই কেন খাবেন? জেনে নিন

দই অনেকেই পছন্দ করেন। কেননা দুধের মতোই দইয়েও রয়েছে অসাধারণ পুষ্টিগুণ। এই দইয়ের মধ্যে আবার টক দই বেশি উপকারী। নানা শারীরিক সমস্যার সমাধানে টক দই অত্যন্ত কার্যকরী! পুষ্টিবিদদের মতে প্রতিদিন নিয়ম করে যদি এক কাপ টক দই খাওয়া যায়, তাহলে শারীরিক একাধিক সমস্যাকে চিরকালের মতো দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব। এবার জেনে নেওয়া যাক টক দইয়ের আশ্চর্য কয়েকটি স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে-

১. টক দইয়ে ফ্যাট অনেক কম থাকে এবং স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে টক দই অন্যতম। যা রক্তের কোলেস্টরল কমাতে বিশেষভাবে সহায়ক। আর এ কারণে কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা, স্ট্রোক এবং হৃদপিণ্ডের সমস্যার ঝুঁকি কম থাকে।
২. অনেকের চেষ্টা থাকে ওজন কমানোর। তারা জেনে নিন, টক দই হলো ওজন কমানোর মূল হাতিয়ার। টক দইয়ে ফ্যাট অনেক কম থাকে। এ ছাড়াও টক দইয়ের সঙ্গে ফল খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে ঘন ঘন খিদে কম পাবে।

৩. কোষ্ঠকাঠিন্যে অনেকেই ভোগেন। খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি শারীরিক সমস্যা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। টক দইয়ের ল্যাকটিক কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। এ ছাড়াও নিয়মিত টক দই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে।
৪. অতিরিক্ত তেল ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে অনেকেই বদহজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই সমস্যাও দূর করতে পারে টক দই। টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমে সহায়তা করে এবং বদহজম প্রতিরোধ করে।

৫. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দূর করতেও টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস কোলেস্টরল কমায় এবং সেই সঙ্গে কমায় উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি।

৬. অনেকেই দুধ খেতে পারেন না। অর্থাৎ ল্যাকটোস ইন্টলারেন্সের সমস্যা রয়েছে। ফলে দুধ সহজে হজম হতে চায় না। তারা অনায়েসেই দুধের পরিবর্তে টক দই খেতে পারেন।
৭. কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে রক্তে অনেক সময় টক্সিন জমে থাকে। তাই নিয়মিত টক দই খাওয়ার অভ্যাস রক্ত পরিশোধনে কাজ করে রক্তকে টক্সিন মুক্ত রাখতে সহায়তা করে।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *