তড়তড়িয়ে ওজন কমাতে এই জিনিসটি নিয়ম করে খান!

ওজন কমাতে এখন থেকে জিভ পুড়িয়ে গ্রিনটি খেতে হবে না। ঠাণ্ডা করেও খেতে পারবেন চা। তবে অবশ্যই দুধ, চিনি ছাড়া চা খেতে হবে। কেননা দুধ এবং চিনিতে প্রচুর ক্যালোরি থাকে। যা আপনার ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।দেখা গেছে অনেকেই আইস টি কিংবা

কোল্ড কফি খেতে পছন্দ করেন। কেউ কেউ বলেন এতে করে চা বা কফির কোনো গুনাগুণ থাকে না। এজন্য চিনি ছাড়া চা খেয়ে থাকেন কেউ কেউ। ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে আয়েশ করে চুমুক দিয়ে দিন শুরু করেন অনেকে। ঠাণ্ডা হলে গেলে দ্বিতীয়বার গরম করে খান চা। গবেষণা বলছে ধোঁয়া ওঠা গরম চায়ের তুলনায় ঠাণ্ডা চা খাওয়া উপকার বেশি। গরম চা ঠাণ্ডা করে খেলে ওজন কমে এবং তা

অন্যান্য কোল্ড কফি অথবা চায়ের থেকেও অনেক বেশি কার্যকর। এমন তথ্যই উঠে এসেছে দক্ষিণ আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের করা গবেষণা থেকে। তারা এই গবেষণাটি চালিয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডের ফ্রিবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ জন তরুণ শিক্ষার্থীর ওপর। শরীরের ওজন কিভাবে দ্রুত কমানো সম্ভব, এটাই ছিল এ গবেষণার মূল বিষয়। গবেষণা চলাকালীন তাদের প্রতিদিন গরম চা দেয়া হলেও একদিন

তাদের ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার চা পান করতে দেয়া হয়। এর ১ ঘণ্টা আগে তাদের ব্লাড প্রেসার, হার্ট রেট, শরীরে অক্সিজেন মাত্রা এবং ফ্যাট অক্সিডেসনের মাত্রা পরিমাপ করা হয়েছিল। অন্যান্য দিনগুলোতে তাদের চা দেয়া হতো ৫৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপ মাত্রার। চা পান করার পরে ৯০ মিনিটে প্রাপ্ত ডাটাগুলোকে চা পানের আগের প্রাপ্ত ডাটাগুলোর সঙ্গে তুলনা করা হয়। প্রাপ্ত ডাটা

গুলোর পার্থক্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টিগ্রেটিভ কার্ডিওভাসকুলার এবং বিপাকীয় ফিজিওলজি ল্যাবের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা করা হয়। গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তে লক্ষ্য করা গেছে, গরম চা পানের থেকে গরম চা ঠাণ্ডা করে পান করার ফলে শরীরে শক্তি খরচ দ্বিগুণ হারে হয়েছে। এছাড়াও ঠাণ্ডা চা শরীরে চর্বি কমাতে সাহায্য করে, এমন তথ্যও পেয়েছেন গবেষকরা। একই সঙ্গে এটি হৃদপিণ্ডের উপরে

বিপাকীয় চাপ কমিয়ে আনে। তবে সকল প্রকারের চা এক ভাবেই কাজ করে কিনা তা এখনও অজানা। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আরও সময় ও গবেষণা প্রয়োজন। ওজন কমানো ছাড়া এই চায়ের আরো কিছু উপকারিতা রয়েছে কিনা তা জানা, এখন সময়ের অপেক্ষা।

About Susmita Roy

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *