এই ১২টি কারণে নিয়মিত জলপাই খাওয়া স্বাস্থ্যর জন্য ভালো
Image: google

এই ১২টি কারণে নিয়মিত জলপাই খাওয়া স্বাস্থ্যর জন্য ভালো

জলপাই হচ্ছে টক জাতীয় একটি ছোট ফল। এতে ভিটামিন, মিনারেল এবং ভেষজ উপাদান, খাদ্যআঁশ, আয়রন, কপার, ভিটামিন-ই, ফেনোলিক উপাদান, অলিক অ্যাসিড এবং বিভিন্ন প্রকারের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বিদ্যমান রয়েছে। এসব উপাদান শুধু রোগ প্রতিরোধ

ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে না, একইসঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। শুধু ফল হিসেবে নয়, এর তেলও খুব স্বাস্থ্যকর। জলপাই তেলে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে, যেগুলো আমাদের শরীরকে সুস্থ্য এবং সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। গবেষকরা দেখিয়েছেন, খাবারে জলপাইয়ের তেল ব্যবহারের ফলে শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকে। এবার জেনে নিন যে ১২টি কারণে নিয়মিত জলপাই খাওয়া ভালো।

১. ক্যান্সার প্রতিরোধে জলপাই ভিটামিন- ই এর ভালো উৎস। এছাড়া এতে মনোস্যাটুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। জলপাইয়ের ভিটামিন- ই কোষের অস্বাভাবিক গঠনে বাধা দেয়। ফলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি কমে। ২. হৃদযন্ত্রের যত্নে যখন কোনো মানুষের রক্তে ফ্রির্যা ডিকেল অক্সিডাইজড কোলেস্টোরেলের মাত্রা বেড়ে যায় তখন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। জলপাইয়ের তেল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। জলপাইয়ের এ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তের কোলেস্টেরেলের মাত্রা কমায়। ফলে কমে যায় হৃদরোগের ঝুঁকি। ৩. ওজন কমাতে যখন জলপাইয়ের মোনো-স্যাচুরেটেড

ফ্যাট অন্য খাবারে বিদ্যমান স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে গ্রহণ করা হয় তখন তা দেহের ভেতরের ফ্যাট সেলকে ভাঙতে সাহায্য করে। জলপাইয়ের তেলেও রয়েছে লো কোলেস্টেরল যা ওজন এবং ব্লাডপ্রেশার কমাতে সহায়ক। ৪. আয়রনের বড় উৎস কালো জলপাই আয়রনের বড় উৎস। রক্তের লোহিত কনিকা অক্সিজেন পরিবহন করে। কিন্তু শরীরে আয়রনের অভাব হলে শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। ফলে শরীর হয়ে পড়ে দূর্বল। আয়রন শরীরের অ্যানজাইমকে চাঙ্গা রাখে। ৫. অ্যালার্জি প্রতিরোধে গবেষণায় দেখা গেছে, জলপাই অ্যালার্জি প্রতিরোধে

সহায়তা করে। জলপাইয়ে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা ত্বকের ইনফেকশন ও অন্যান্য ক্ষত সারাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। ৬. পরিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে নিয়মিত জলপাই খেলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। খাবার পরিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে জলপাই। শুধু তাই নয়, গ্যাস্ট্রিক ও আলসারে হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই। জলপাইয়ের তেলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার থাকে। যা বিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে। জলপাইয়ে যে খাদ্যআঁশ আছে তা মানুষের দেহের পরিপাক ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং হজমে সহায়তা করে। ৭. হাড়ের ক্ষয়রোধ করে

জলপাইয়ে মনোস্যাটুরেটেড ফ্যাটে থাকে এন্টি ইনফ্লামেটরি। রয়েছে ভিটামিন ই ও পলিফেনাল, যা অ্যাজমা ও বাত-ব্যাথাজনিত রোগের হাত থেকে বাঁচায়। বয়সজনিত কারণে অনেকেরই হাড়ের ক্ষয় হয়। এই হাড়ের ক্ষয়রোধ করে জলপাইয়ের তেল। ৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় জলপাইয়ে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা দেহে ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে এবং দ্বিগুণ পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ৯. বিভিন্ন রোগ দূর করে সংক্রামক ও ছোঁয়াচে রোগগুলোকে রাখে অনেক দূরে। নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরসের

কাজ করতে সুবিধা হয়। পরিণামে পিত্তথলিতে পাথরের প্রবণতা কমে যায়। এই তেলে চর্বি বা কোলেস্টেরল থাকে না। তাই ওজন কমাতে কার্যকর। যেকোনো কাটা-ছেঁড়া, যা ভালো করতে অবদান রাখে। জ্বর, হাঁচি-কাশি, সর্দি ভালো করার জন্য জলপাই খুবই উপকারী। ১০. সর্দি-কাশিতে উপকারী সংক্রামক ও ছোঁয়াচে রোগগুলো থেকে আমাদের দূরে রাখে জলপাই। নিয়মিত জলপাই খেলে পিত্তথলির পিত্তরসের কাজ করতে সুবিধা হয়। পরিণামে পিত্তথলিতে পাথরের প্রবণতা কমে যায়। এছাড়া যেকোনো কাটা-ছেঁড়া, জ্বর, হাঁচি-কাশি, সর্দি ভালো করার জন্য

জলপাই খুবই উপকারী। ১১. ত্বক ও চুলের যত্নে জলপাইয়ের তেলে আছে ফ্যাটি এসিড ও এ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা কিনা ত্বক ও চুলের যত্নে কাজ করে। জলপাইয়ের ভিটামিন ই ত্বকে মসৃণতা আনে। চুলের গঠনকে আরও মজবুত করে। ত্বকের ক্যান্সারের হাত থেকেও বাঁচায় জলপাই। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকের যে ক্ষতি হয় তা রোধ করে জলপাই। ১২. চোখের যত্নে জলপাইয়ে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। ভিটামিন এ চোখের জন্য ভালো। যাদের চোখ আলো ও অন্ধকারে সংবেদনশীল তাদের জন্য ঔষধের কাজ করে জলপাই। এছাড়াও জীবাণুর আক্রমণ, চোখ ওঠা, চোখের পাতায় ইনফেকশনজনিত সমস্যাগুলো দূর করে এই জলপাই।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *