সন্তানকে যে ৮টি কথা কখনোই বলা উচিৎ নয়
Image: google

সন্তানকে যে ৮টি কথা কখনোই বলা উচিৎ নয়!

আমা’র নিজেদের সন্তানের ভালোর জন্য বকা-ঝকা করা করে থাকি; আপনি হয়ত ভাবছেন একটু বকা দিলে ক্ষ’তি নেই। আ’সলে বিষয়াটি তা নয়; বকা-ঝকা করা অাপনার সন্তানের মনে ও তার ব্য’ক্তিত্বে অনেক নেতিবাচক প্র’ভাব প’ড়ে। শুধুমাত্র নেতিবাচক

প্র’ভাবই নয়; সর্ম্পকে এতে ফাটল ধ’রে! আসুন জে’নে নিই, এমন কিছু ভুল কথা যা সন্তানকে কখনোই বলা উচিৎ নয় আমাদের: 1. আমাকে একা থাকতে দাও: প্রতিটি মানুষের নিজস্ব কিছু সময় কাটানোর জন্য একান্ত প্রয়োজন হয়। জীবনে এমন কোনো এক সময়

আসে, যখন সবাই একা একা থাকতে চায় খানিকটা সময়। কিন্তু তাই বলে সন্তানকে সরাসরি বলা যাবে, “আমাকে একা থাকতে দাও”। এ কথা তাদের মধ্যে নিরপত্তাহীনতা সৃষ্টি করে। সে ভাবে আপনি হয়তো আর তাকে ভালোবাসেন না।
2. তোমা’র ভাই বা দিদির মত হতে পারো না: আপনার সন্তানকে তার ভাইবোন বা কাজিনের স’ঙ্গে তুলনা ক’রতে যাবেন না। প্রতিটি

মানুষই স্বতন্ত্র। আপনার এ ধ’রণের তুলনা তার ব্য’ক্তিত্বে খুবই খা’রাপ প্র’ভাব ফে’লে এবং নিজে’র ভেতর হীনমন্যতা সৃষ্টি হয়। যা সন্তানের জন্য মা’রাত্মক মা’নসিক অশা’স্তি সৃষ্টি করে। 3. কোনো কাজ ঠিকমত ক’রতে পারো না: একটা ছোট বাচ্চার বুঝার ক্ষ’মতা সীমিত থাকে। তবুও সে সব কাজ নিখুঁত করার চেষ্টা করে। কিন্তু সবসময় তা সঠিক নাও হতে পারে। তার মানে এই নয় যে, তার দ্বারা কোনো কাজ হবে না।
4. থাম! না হলে তোমাকে মা’রব: এ কথাটি প্রায় সব বাবা মায়েরা তার সন্তানদের শুনিয়ে থাকেন। আপনি সন্তানকে মা’রেন বা না মা’রেন এ কথাটি তার মনে বিদ্রোহী মনোভাব সৃষ্টি করে এবং এটি সন্তানকে জেদি ও অবাধ্য করে তোলে।

5. তুমি না জ’ন্মালে ভালো হতো: রাগ করে হোক বা অন্য কোনো কারণেই হোক সন্তানকে এই ধ’রণের কথা বলবেন না। এই একটি কথাই আপনার প্রতি সন্তানের ঘৃণা তৈরির জন্য যথেষ্ট।
6. তুমি খুব মোটা বা শুকনো: কোনো শি’শুকে তার স্বা’স্থ্য নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। কারণ এটি তার মধ্যে নিজে’র প্রতি ঘৃণা তৈরি করে। সুতারাং, তার শ’রীরের গঠন নিয়ে কথা বলা থেকে বিরত থাকুন।

7. তাড়াতাড়ি কর: আপনার সন্তানটি হয়তো সকালে নাস্তা খেতে খুব দেরি করে বা তার কেডস পরতে দেরি করে, যার ফলে তার স্কুলে যেতে দেরি হয়ে যায়। এ জন্য আপনি যদি তাকে শা’স্তি দেন বা তাড়াতাড়ি কর কথাটি বারবার বলেন। বেবি মাইন্ডস বইটির সহ লেখিকা (পি.এইচ.ডি) লিন্ডা অ্যাক্রিডোলো বলেন, “এতে সে খুব বাড়তি চা’প অ’নুভব করবে”। তাই আপনি তাকে আস্তে করে বলুন, “চলো তাড়াতাড়ি করি।” তখন সে বুঝতে পারবে তার দেরি হয়ে যাচ্ছে।
8. নরম সুরে কথা বলুন: আপনি অভিভাবক হিসেবে তার সাথে নরম সুরে কথা বলুন ধমক দিয়ে নয়। এতে করে তার কোমল মনে

কোন ক্ষ’ত সৃষ্টি হবেনা । প্রতিটি মা-বাবাই তার বাচ্চাদের ভলোবাসেন এতে কোন সন্দে’হ নেই। কিন্তু অনেক সময় আম’রা হুটহাট এমন সব কথা বলি যা, তাদের মা’নসিক বৃ’দ্ধি বাঁ’ধাগ্রস্থ হয় ও তার উপর ব্যা’পক নেতিবাচক প্র’ভাব ফে’লে। তাই কিছুটা সা’বধানতা অবলম্বন করে কথা বলুন সন্তানের সাথে।

Check Also

আকর্ষণীয় ফিগার

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে চাইলে যা করবেন

আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ। যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *