পেট ফাঁপা ও গ্যাস দূর করুন ঘরোয়া উপায়ে! ওষুধের চেয়েও দ্বিগুণ কার্যকর
Image: google

পেট ফাঁপা ও গ্যাস দূর করুন ঘরোয়া উপায়ে! ওষুধের চেয়েও দ্বিগুণ কার্যকর

পেট ফাঁপা ও গ্যাস দূর করার সহজ উপায় জেনে নিন। মাঝেমধ্যেই গ্যাস বেলুনের মতো পেট ফুলে ওঠা বড়ই অস্বস্তিকর বিষয়। বিশেষ করে খাদ্য তালিকা উনিশ থেকে বিশ হলেই গ্যাসে অস্থিরতায় ভুগতে থাকেন। কী করণীয় কিছুই বুঝে উঠতে পারেন না? গ্যাসের ওষুধে অভ্যস্ত না

হয়ে পেটের তিনটি পয়েন্টে চাপ দিয়ে সহজেই স্বস্তি পেতে পারেন। এ জন্য মাত্র মিনিট পাঁচেকই সময় যথেষ্ট। এ বিষয়ে জেনে নিন। পয়েন্ট
১ : নাভি থেকে ঠিক পাঁচ আঙুল ওপরে, নাভি বরাবর সরলরেখায় যে পয়েন্ট হয়, সেখানে আঙুল দিয়ে হালকা চাপে ম্যাসাজ করুন। ঘড়ির কাঁটা বরাবর কিছুক্ষণ আঙুল ঘুরিয়ে, পরক্ষণেই ঘড়ির কাঁটার উল্টো দিকে ম্যাসাজ করুন। এভাবে তিন মিনিট করলেই ফল পাবেন।

পাকস্থলিতে জমে থাকা গ্যাস মুহূর্তে বেরিয়ে, আপনাকে আরাম দেবে। পয়েন্ট ২ : নাভি থেকে ঠিক এক আঙুল ছেড়ে ওপরের দিকে একইভাবে ম্যাসাজ করতে থাকুন তিন থেকে চার মিনিট। গ্যাসের জন্য পেটে ব্যথা করলে, তা কমে যাবে। পয়েন্ট ৩ : নাভি থেকে ঠিক পাঁচ আঙুল ছেড়ে নিচের দিকে অর্থাত্‍‌ তলপেটে একইভাবে ক্লক ও অ্যান্টি ক্লক অনুযায়ী আঙুল ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন। এতে শুধু দ্রুত গ্যাসই বের

হবে না। একই সঙ্গে অন্ত্রের সক্রিয়তা বাড়িয়ে তুলবে। এইগুলি প্রয়োগ করলে গ্যাস, বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়। ১. শসা : শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়। ২. দই : দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়। ৩. পেঁপে :

পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে। ৪. কলা ও কমলা : কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার। ৫. আদা : আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি

করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে। ৬. ঠাণ্ডা দুধ : পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে। ৭. দারুচিনি : হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে। ৮. জিরা : জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি

তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে। ৯. লবঙ্গ : ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। ১০. এলাচ : লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে। ১১. পুদিনা পাতার পানি : এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।

১২. মৌরির পানি : মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না। এ ছাড়াও খাবারে সরষে যোগ করুন : সরষে গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে। নজর রাখতে হবে নিজের খাওয়া-দাওয়ার প্রতি। জেনে নিতে হবে কোনটি খাওয়া উচিত হবে কোনটি হবে না।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *