কয়েক দশক আগে বয়স ৪০-৪৫ পার হওয়ার পর হার্ট অ্যাটাক হলেও এখন ৩০-এর কাছাকাছি মানুষও প্রাণ হারাচ্ছেন হৃদরোগে। এর পিছনের মূল কারণগুলো কী কী? কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। খুব অল্প বয়সে হার্ট অ্যাটাকের কারণ: সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মহান
ক্রিকেটার শেন ওয়ার্ন, কন্নড় সুপারস্টার পুনীত রাজকুমার এবং বিখ্যাত বলিউড গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (কেকে)-সহ একের পর এক সেলিব্রিটি হার্ট অ্যাটাকের কারণে মা’রা গিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সম্প্রতি ভারতের বহু যুবক অত্যন্ত অল্প বয়সেই এই সমস্যার শিকার হতে শুরু করেছে, যা খুবই মর্মান্তিক। হার্ট অ্যাটাক কেন হয়? শরীরের শিরা-উপশিরায় রক্ত চলাচল ঠিকমতো না হলে রক্ত জমাট বাঁধার
সমস্যা হয় এবং এর ফলে হার্ট অ্যাটাক হয়। হৃৎপিণ্ডে যখন রক্ত ঠিকমতো পৌঁছায় না, তখন শিরায় চাপ পড়ে এবং তখনই হয় হার্ট অ্যাটাক। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
১. খারাপ জীবনধারা- জীবনের বেশিরভাগ সমস্যাই আসে খারাপ জীবনযাপনের কারণে। বর্তমান এই দৌড়ের জীবনে, তরুণরা তাদের স্বাস্থ্যের বিশেষ যত্ন নিতে পারেন না, যা হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
২. স্থূলতা- ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে প্রায়শই যুবকরা মোটা হয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়, যা হার্ট অ্যাটাক, করোনারি আর্টারি ডিজিজ, ট্রিপল ভেসেল ডিজিজ বাড়িয়ে দেয়। ফলে বিপদ বাড়ে।
৩. সিগারেট এবং অ্যালকোহল সেবন- নিজেকে ট্রেন্ডি এবং ‘কুল’ দেখাতে, তরুণ বয়সের লোকেরা সিগারেট এবং অ্যালকোহলের প্রতি অনুরাগী হয়ে উঠছে, কিন্তু তারা ভুলে যায় যে এই আসক্তির কারণে স্বাস্থ্যের কতটা ক্ষতি হয়। এ কারণে রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং এটি সরাসরি ধমনীতে প্রভাব ফেলে, হৃৎপিণ্ড দ্রুত পাম্প করার কারণে এটি আক্রমণে পরিণত হয়।
৪. উত্তেজনা- ভারতে, মানসিক স্বাস্থ্য সংশোধনের উপর খুব বেশি জোর দেওয়া হয় না, তবে এটি অনেক রোগের কারণ হতে পারে। আজকের তরুণরা ভালো শিক্ষা ও চাকরির আকাঙ্ক্ষায় টেনশনে থাকে, যার কারণে তাদের হার্ট অ্যাটাক হয়।