সমস্ত দিনের ক্লান্তি শেষে হয়ত আপনি গভীর ঘুমে মগ্ন আর ঠিক তখনই হঠাৎ করে দেখা দেয় পারে পেশীতে বা পায়ের রগে টান কিংবা ব্যথা! আপনিও কঁকিয়ে ওঠেন এই বুঝি পা ছিড়ে গেল! আর এমন অবস্থায় কোনক্রমেই পা সোজা কিংবা ভাজ করা সম্ভব হয় না! কোন
বিরতি ছাড়া একটানা পা ভাঁজ করে রেখে হঠাৎ সোজা করতে গেলে পায়ের পেশীতে টান পড়ে। ঠিক এমন সময় পায়ের পেশীতে বা রগে প্রচণ্ড টান ও ব্যথা অনুভূত হয়। এমন অবস্থা ঘুমন্ত বা জেগে থাকা অবস্থাতেও হয়ে থাকে। বিশেষভাবে ঘুুমন্ত সময়ে এটির আক্রমণ বেশি লক্ষ করা যায়। অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণেন দীর্ঘসময় কাজে মগ্ন থাকার কারনে অনেক সময় পায়ের পেশীতে টান বা ব্যথা হতে পারে। অবার
দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে বা বসে থাকার কারণেও এমনটা হয়ে থাকে। তবে পায়ের পেশীর টান নানা কারণে হতে পারে। যেমন: ক্যালসিয়ামের ঘাটতি, পানিশূণ্যতা, মাংসপেশী বা স্নায়ুতে আঘাত, শরীরে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের ঘাটতি হতেও হতে পারে। আবার এমন কিছু ওষুধ আছে যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও এমন হয়ে থাকে। উচ্চরক্তচাপ ,কোলেস্টেরল ভিটামিন বি১, বি৫, বি৬ এর অভাবেও হতে পারে। ধূমপান ও মদ্যপানের
কারণেও এই পেশীর টান হয়ে থাকে। সাধারণত ধূমপায়ী ব্যক্তিদের রক্ত চলাচল কম হয়ে থাকে বলে সামন্য হাঁটাহাঁটিতেই তাদের পায়ের পেশীতে টান পড়ে যায়। গর্ভবর্তী নারীদের বিভিন্ন স্নায়ুজনিত চাপ পড়ে থাকে, তাই সে সময় পায়ের পেশীতে পায়ের টান পড়ে থাকে। আবার কিডনি ফেইলর, হাইপোথাইরয়েডিজম, গর্ভ সঞ্চার ইত্যাদি কারণেও পায়ের পেশীতে টান পড়ে। পায়ের পেশীতে টান পড়লে যা করবেন: ১। যদি
পায়ের পেশীতে টান পড়ে তাহলে যে, পায়ের পেশীতে টান পড়লো অতিদ্রুত সেই পায়ের পেশীকে রিলাক্স বা শিথিলায়ন করতে হবে। আপানার যদি হাঁটুর নিচে পায়ের পিছনের দিকে মাংসলে টান লাগে তাহলে সোজা করে পায়ের আঙ্গুলের মাথাগুলো ধরে আপননার দিকে আস্তে আস্তে টানবেন। আর যদি সামনের দিকে হয় তাহলে পা ভাঁজ করে পায়ের আঙ্গুলের মাথাগুলো পিছনের দিকে টানতে হবে। ২। আর যদি পেশী শক্ত
হয়ে আসে তখন ওয়াটার ব্যাগ বা হট ব্যাগের মাধ্যমে কিছুক্ষণ গরম সেঁক দিবেন। আবার যদি পেশী বেশি নরম এবং ফুলে যায় আর ব্যথা থাকে তাহলে তাতে আইচব্যাগ দিয়ে ঠাণ্ড ভাপ দিবেন এত বেশি আরাম অনুভব করতে পারবেন। ৩। আমাদের প্রত্যেকের বাসায় সচারচর থাকে মুভ বা ভিক্স জাতীয় ব্যথানাশক মলম বা বাম, এসময় তাদিয়ে আলতো করে পেশীতে মালিশ করতে পারেন। ৪। পেশীতে যাতে টান না পড়ে
সেজন্য পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামযুক্ত খাবার রোজ রাখুন পাতে। সবুজ শাকসবজি, দুধ, মাছ, মাংস, খেজুর পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ৫। আর আপনার যদি কোন প্রকার নেশা করার অভ্যাস থাকে তা অতিদ্রুত বাদ দিবেন। যেমন: মদ্যপান, ধূমপান। সেই সাথে প্রতিদিন সকালে শারীরিক ব্যয়ামের অভ্যাস গড়ে তুলবেন। এরপরও যদি কোন সমস্যা মনে হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।