জেনে নিন পাওনা টাকা আদায়ের দারুণ কৌশল
Image: google

জেনে নিন পাওনা টাকা আদায়ের দারুণ কৌশল!

প্রয়োজনে কম-বেশি সবাইকে টাকা ধার নিতে হয়। আবার অনেক সময় নিজেকেও অন্যজনকে থাকা ধার দিতে হয়। কিন্তু স’মস্যাটি হয় তখন, যখন পাওনা টাকা আদা’য়ের সময় আসে। টাকা ধার নেয়ার সময় বিনয়ী থাকলেও, ফেরতের সময় তা মোটেও থাকে না। তবে পাওয়ানা

টাকা আদা’য়ের জন্যও আছে দারুণ কৌশল। চলুন জে’নে নেয়া যাক উদাহরণসহ সমাধানের উপায়-করিম একজন শান্তিপ্রিয় ভদ্রলোক। তার একটি পাইকারি মাল বিক্রির দোকান আছে। রহিম করিমের দোকানের একজন নিয়মিত ক্রেতা। নিয়মিত ক্রেতা সেই সুবাদে রহিম প্রায় সময়ই করিমের দোকানে বাকিতে পণ্য ক্রয় করে থাকে। এভাবেই এক সময় রহিম প্রচুর পরিমাণে বাকিতে পণ্য ক্রয় করে যাচ্ছে। একসময় করিম

রহিমের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা বকেয়া পাওনা হয়ে যায়। বকেয়া টাকা উঠানোর জন্য করিম রহিমের পিছনে ঘুরতে ঘুরতে এখন ক্লান্ত। বকেয়া টাকা সে তার কাছ থেকে তুলতে পারল না। কীভাবে রহিমের কাছ থেকে এই পাঁচ লাখ টাকা তুলতে পারবে তা নিয়ে করিম ভীষণ

চিন্তায় পরে গেল। একসময় সে বুঝতে পারল এভাবে তার কাছ থেকে টাকা তুলতে পারবে না। তাকে রহিমের বি’রুদ্ধে আ’ইনানুগ ব্যব’স্থা গ্রহণ ক’রতে হবে। কীভাবে রহিমের কাছ থেকে সে পাঁচ লাখ টাকা পাওনা আদায় ক’রতে পারবে সে স’স্পর্কে জানতে সে গেল একজন আ’ইনজীবীর কাছে।

ব্যবসা পরিচালনার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোককে বাকিতে মাল দিতে হয়। তবে অনেক সময় অনেক অসাধু লোক উক্ত টাকা প’রিশোধ করে না। এটা যে শুধুমাত্র উক্ত দেনাদারের আর্থিক অক্ষ’মতার কারণে হয়ে থাকে তা নয়। কিছু মানুষ আছে যারা পাওনা টাকা প’রিশোধ না করে পাওনাদারকে পিছনে ফেলতে খুব আনন্দ পায়। আবার কিছু লোক আছে যারা স্থা’নীয়ভাবে খুব প্র’ভাবশালী। তারা মানুষকে হয়রানি

ক’রতেও কেন যেন পছন্দ করে। এখন আম’রা জে’নে নিব কীভাবে করিম রহিমের কাছ থেকে সেই পাঁচ লক্ষ টাকা আদায় করবে। এজন্য করিমকে যে সমস্ত কাগজপত্র আনতে হবে তা হলো- করিম যে রহিমের কাছে পাঁচ লাখ টাকা পায় সেই টাকা দাবীর সাপেক্ষে যে সমস্ত কাগজ পত্র বা যে সমস্ত প্রমাণ করিমের কাছে আছে সে সব কিছু নিয়ে আসতে হবে। যেমন- রশিদ থাকতে পারে-ইত্যাদি যে সমস্ত ডকুমেন্টগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আসতে হবে। মূল মা’মলায় যাওয়ার আগে করিমকে প্রথমেই একজন আ’ইনজীবীর কাছে যেতে হবে।

সেখানে গিয়ে উক্ত আ’ইনজীবীর মাধ্যমে রহিমকে লিগ্যাল নোটিশে করিমের পাওনা পাঁচ লক্ষ টাকা প’রিশোধ ের জন্য কয়েক দিন সময়
দিতে হবে। এই নোটিশে রহিমকে ৩০ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হল। উক্ত নোটিশে আরো লিখতে হবে উক্ত টাকা নির্ধারিত সময়ে প’রিশোধ না করলে তার বি’রুদ্ধে আ’ইনানুগ ব্যব’স্থা গ্রহণ করা হবে। উক্ত লিগ্যাল নোটিশটি অবশ্যই রেজিস্ট্রারে ডাক যোগে রহিমের ঠিকানায় পাঠাতে হবে। লিগ্যাল নোটিশে দেয়া উক্ত সময়ের মধ্যে যদি রহিম করিমের পাওনা টাকা প’রিশোধ করে তাহলেতো ভালো। তবে এই সময়ের মধ্যে যদি

উক্ত টাকা পরিশোদ না করে সেক্ষেত্রে করিমকে রহিমের বি’রুদ্ধে আ’ইনানুগ ব্যব’স্থা গ্রহণ ক’রতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সাক্ষ্য প্রমাণগুলো স’ঙ্গে নিয়ে করিমকে যেতে হবে নিকটতস্থ কোর্টে। সেখানে গিয়ে একজন ভালো আ’ইনজীবীর মাধ্যমে করিমকে রহিমের বি’রুদ্ধে একটি মানি সুটের মা’মলা ক’রতে হবে।

উক্ত মা’মলা করার জন্য কি পরিমাণ কোর্ট ফি দিতে হবে?
পাওনা টাকার উপর ২ দশমিক ৫ শতাংশ হারে এডভেলোরেম ফি দিতে হবে। অর্থাৎ পাওনা টাকা যদি হয় ১ লাখ টাকা তবে উক্ত টাকার উপর কোট ফি হবে ২ হাজার ৫০০ টাকা। আরো আনুসাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে মোট খরচ হতে পারে প্রতি লাখে ৩ হাজার টাকার মতো। তবে সরকার চাইলে এই হার বাড়াতে বা কমাতে পারে। সমস্ত সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে এই আদালত যদি সন্তোষ্ট হয় তবে আদালত রহিমের বি’রুদ্ধে ডিক্রি জারী ক’রতে পারে।

আদালত কি পরিমাণ টাকা জ’রিমানা ক’রতে পারে?
এখানে মূল বকেয়া টাকা প্রদানের জন্য ডিক্রি দিতে পারে অর্থাৎ সেই পাঁচ লাখ টাকা প্রদানের জন্য রায় দিতে পারে। পাওনা টাকার উপর সুদ প্রদানের ডিক্রি প্রদান ক’রতে পারে। অর্থাৎ এই যে পাঁচ লাখ টাকা দীর্ঘ দিন যাবৎ রহিমের কাছে বকেয়া পরে আছে সেই সময়ের উপর নিদিষ্ট হারে সুদ প্রদানের জন্য আদালত ডিক্রি দিতে পারে। এছাড়া মা’মলা পরিচালনার ব্যয় প’রিশোধ ের জন্য দেনাদারের বি’রুদ্ধে ডিক্রি দিতে

পারে। অর্থাৎ এই মা’মলাটি পরিচালনার জন্য করিমের যে পরিমাণ খরচ হয়েছে সেই খরচও তাকে দেয়ার জন্য আদেশ দিতে পারে আদালত। একই স’ঙ্গে আরো কিছু ক্ষ’তিপূরণ দিতে আদেশ দিতে পারে আদালত। এই সমস্ত টাকা যদি রহিম প’রিশোধ ক’রতে না পারে সেক্ষেত্রে তার বি’রুদ্ধে দন্ড বা জে’ল হাজতের ব্যব’স্থা ক’রতে পারে আদালত। এভাবে করিম তার পাওনা টাকা রহিমের কাছ থেকে আদায় ক’রতে পারে। বা তাকে শা’স্তি দেয়ার ব্যব’স্থা ক’রতে পারে।

Check Also

আকর্ষণীয় ফিগার

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে চাইলে যা করবেন

আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ। যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *