সন্তানের চেয়ে স্বামীরাই নারীদেরকে বেশি মানসিক চাপে রাখে
Image: google

সন্তানের চেয়ে স্বামীরাই নারীদেরকে বেশি মানসিক চাপে রাখে!

সন্তানের মা হওয়া মোটেও সহজ নয়। দায়িত্ব বাড়ে, কাজ বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়ে মানসিক চাপ। সন্তানের মন রক্ষা করার চাপে অনেক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন মা। বিষণ্ণতায় ভুগতে শুরু করেন। তবে সন্তানের চাইতেও দ্বিগুণ মানসিক চাপ তৈরি করে সন্তানের বাবা, এমনটাই অভিযোগ

অনেক নারীর। সন্তান তো বটেই, স্বামীকেও পালতে হয়- এমনটাই বলেন অনেক নারী। অর্থাৎ, সন্তানের মতো স্বামীরও বাস্তব এবং অবাস্তব চাহিদা পূরণ করতে করতে দিন শেষে প্রচণ্ড মানসিক চাপ এবং হতাশায় ভোগেন নারীরা। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক হিসেবে স্বামীর যেসব দায়িত্ব পালন করা উচিত কিংবা কাজ করা উচিত তা অধিকাংশ পুরুষই করেন না। এমনকি স্ত্রীকে মানসিক সমর্থনও দিতে ব্যর্থ হন অধিকাংশ স্বামী।

ফলে সন্তান পালন, সাংসারিক কাজের চাপ এবং স্বামীর প্রতি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন নারীরা। আমেরিকায় নারীদের উপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, সন্তান জন্মের পরে সৃষ্ট মানসিক চাপ বেড়ে গড়ে দশে সাড়ে আট-এ দাঁড়ায়। ৭০০০

মায়ের উপর চালানো এই জরিপের প্রায় অর্ধেক নারী (৪৬%) জানিয়েছেন, সন্তান চাইতে স্বামীরাই বেশি মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। গবেষণাটিতে প্রতি পাঁচ জনে একজন নারী জানিয়েছেন যে তারা সঙ্গীর কাছ থেকে সাংসারিক কাজে একেবারেই সাহায্য পান না। ইউনিভার্সিটি অব

প্যাডোভার একটি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী দাম্পত্যে এই মানসিক চাপের প্রভাব পড়ে। শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্য এবং আয়ুর উপরেও প্রভাব আছে এই মানসিক চাপের। এমনকি গবেষকরা এটাও জানিয়েছেন যে, এই দম্পতিদের মধ্যে যদি স্ত্রীর মৃত্যু হয় স্বামীর স্বাস্থ্য খুব দ্রুতই ভেঙ্গে পরে। কিন্তু স্বামীর মৃত্যু হলে স্ত্রীর স্বাস্থ্য আরও ভালো হয় এবং মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতা কমে। অর্থাৎ, স্বামীর প্রতি স্ত্রী যতটা না নির্ভরশীল, তার

চেয়ে অনেক বেশি নির্ভরশীল একজন স্বামী তার স্ত্রীর উপর।হেলদি হোলিস্টিক লিভিং অবশ্য দাম্পত্যের এই সমস্যা দূর করার কিছু উপায় বলেছে। দুজনেই যদি চাকরী করেন তাহলে সংসারের দায়িত্বগুলোর তালিকা তৈরি করতে হবে। এরপর সমান ভাবে সেগুলো পালন করতে হবে। এতে যে কোনো একজনের উপর অতিরিক্ত মানসিক চাপ পড়বে না।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Check Also

আকর্ষণীয় ফিগার

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে চাইলে যা করবেন

আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ। যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *