কখনো যদি ঢোক গিলতে কষ্ট হয় তাহলে যা করবেন
Image: google

কখনো যদি ঢোক গিলতে কষ্ট হয় তাহলে যা করবেন

খাবার খেতে যেয়ে অনেক সময় ঢোক গিলতে সমস্যা হয়ে থাকে। যা বেশ ক’ষ্ট’কর। এই সমস্যা পানি খেতে গেলেও হয়ে থাকে। অনেকেই জানেন না কেন এই সমস্যা হয়ে থাকে। ইমপালস হাসপাতা’লের নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সার্জন অধ্যাপক ডা. জাহির আল-

আমিন বলেন, খাবার খাওয়ার সময় তা পাকস্থলীতে যায় এবং হ’জম শুরু হয়ে যায়। আর খাবার যখন হ’জম না হয়ে ওপরের দিকে গলাতে উঠে আসে ও ঢোক গিলতে সমস্যা হয়; তখন তাকে রিফ্লাক্স বলে। স্বরযন্ত্র ও গলার রিফ্লাক্স এর মানে হচ্ছে পাকস্থলীর খাবার ও তার এসিড

স্বরযন্ত্র বা গলার মধ্যে উঠে আসে। এটা দিনে বা রাতে যেকোনো সময় হতে পারে। যাদের রিফ্লাক্স থাকে তাদের সবার বুকজ্বালা বা হ’জমের অ’সুবিধা নাও থাকতে পারে। যাদের স্বরযন্ত্র ও গলার রিফ্লাক্স থাকে তাদের অনেকেরই বুকজ্বালা থাকে না।

রিফ্লাক্সের উপসর্গ-
গলার স্বর বসে যাওয়া, গলা বারবার পরিষ্কার করা, গলার শ্লেষ্মা বৃদ্ধি পাওয়া, খাদ্য, পানি বা বড়ি গিলতে অ’সুবিধা হওয়া, খাবার পর বা শোয়ার পর কাশি হওয়া, শ্বা’স নিতে অ’সুবিধা বা শ্বা’স বন্ধ হয়ে যাওয়া ও ক’ষ্ট’কর বা বির’ক্তিকর কাশি। এছাড়া গলার ভেতর কিছু আ’ট’কে থাকা বা গলার ভেতর টিউমা’রের মতো কিছু বোধ করা। বুকজ্ব’লা, বুকব্যথা, হ’জমের অ’সুবিধা বা ঢেকুরের সঙ্গে ট’ক পানি

উঠে আসে। আর অনেক সময় গলায় টিউমা’রের মতো বাধা ও ঢোক গিলতে অ’সুবিধা হওয়া। এই রোগে বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসা নেয়া উচিত। যাদের ওষুধে কাজ হয় না তাদের ক্ষেত্রে ‘এনিটি রিফ্লাক্স’ সার্জারি করতে হয় এবং যাদের সার্জারি হয় তারা এলপিআর থেকে অনেক বছর সুস্থ থাকেন।

করণীয়-
খাদ্যাভ্যাস বদলানো উচিত, যাতে রিফ্লাক্স কম হয় এবং ওষুধ ব্যবহার করা যাতে পাকস্থলীর এসিড কম বের হয়। আর প্রয়োজনে সার্জারি করান, যাতে রিফ্লাক্স না হয়। চিকিৎসকের পরাম’র্শ নিয়ে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন, ধূমপান বর্জন, খুব টাইট জামাকাপড় না পরা, বিশেষ করে

কোম’রের দিকে ও খাবার পরপরই না শোয়া। এছাড়া স্বল্প চর্বিযু’ক্ত খাবার খাওয়া উচিত, মাখন, গরু ও খাসির মাংস না খাওয়া, ভাজা-পোড়া কম খাওয়া, পনির, চকলেট ও পেস্ট্রি বর্জন করা এবং লেবু জাতীয় পানীয় না পান করা। আর অ’তিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলা ও উত্তেজক পানীয় (ম’দ) না খাওয়া।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *