কিডনিতে পাথর। আজকাল অধিকাংশের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা দেখা দেয়। এ নিয়ে অনেকে দীর্ঘ রোগ-যন্ত্রণায় ভোগেন। একগাদা ওষুধ খেতে হয়। অনেককে আবার খানিকটা বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তবে কিছু সাধারণ বিষয় মাথায় রাখলে দূর করা যেতে পারে এই সমস্যা।





কিডনিতে পাথর। আজকাল অধিকাংশের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা দেখা দেয়। এ নিয়ে অনেকে দীর্ঘ রোগ-যন্ত্রণায় ভোগেন। একগাদা ওষুধ খেতে হয়। অনেককে আবার খানিকটা বাধ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। তবে কিছু সাধারণ বিষয় মাথায় রাখলে দূর করা যেতে পারে এই সমস্যা। এক্ষেত্রে সবার আগে নিজের ডায়েট ও লাইফস্টাইলের উপরে নজর দিতে হবে।





এবার বিশদে জেনে নেওয়া যাক কিডনির পাথর দূর করার উপায়গুলি!





1. ক্যালসিয়াম গ্রহণ- অত্যন্ত জরুরি খাদ্য উপাদান। কিডনির পাথর দূর করতে ক্যালসিয়াম মোক্ষম দাওয়াই। তাই শরীরে যদি পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম থাকে, তাহলে কিডনির পাথর থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে দুধ, পনির খাওয়া যেতে পারে।
2. লবণের পরিমাণ কমানোর পাশাপাশি মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ- সুস্থ ভাবে বাঁচতে ও কিডনির পাথর থেকে রক্ষা পেতে নুন খাওয়া কমাতে হবে। অর্থাৎ কমাতে হবে সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণ। এক্ষেত্রে বাইরের খাবার, প্যাকেটজাত খাবার, জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্যেসে লাগাম





দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এর পাশাপাশি অ্যানিমাল প্রোটিন অর্থাৎ মাংস খাওয়ার উপরেও নজর দিতে হবে। কারণ এগুলি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
3. ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ- শরীরে শক্তির সঞ্চার ও মৌল বিপাকীয় হার ঠিক রাখার ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে ম্যাগনেসিয়াম। এই খনিজ উপাদান কিডনির পাথর তৈরির ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম অক্স্যালেট (Calcium Oxalate) গঠনে বাধা দেয়। এক্ষেত্রে অ্যাভোকাডো, কড়াইশুঁটি, সিম খাওয়া যেতে পারে। ডায়েট বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি দিন অন্তত ৪২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম জরুরি।
4. সাইট্রিক অ্যাসিড গ্রহণ- কিডনির পাথর থেকে রক্ষা পেতে শরীরে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সাইট্রিক অ্যাসিড। এক্ষেত্রে লেবু, কমলালেবু, আঙুর,





ব্লু-বেরি বা এই জাতীয় সাইট্রিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল খাওয়া যেতে পারে। এগুলি কিডনির পাথর তৈরির ক্ষেত্রে ক্যালসিয়াম অক্স্যালেট গঠনে বাধা দেয়।
5. হাইড্রেশন- এর কোনও বিকল্প নেই। ফ্লুইড কনজাম্পশনের জেরে মূত্রে উপস্থিত পাথরের উপাদানগুলি পাতলা হয়ে যায়। তাই শরীরের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যে কোনও ধরনের ফ্লুইড বা জল। এক্ষেত্রে জুস, দুধ, সুপ বা নানা রকমের হার্বাল চা পান করা যেতে পারে। তবে





সোডা বা কোনও অতিরিক্ত মিষ্টি পানীয় এড়িয়ে যাওয়া ভালো।
6. এই সমস্ত ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে- কোনও রকম সমস্যা দেখা দিলে বা গুরুতর কিছু মনে হলেই একবার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।









