আজকাল সব বাড়িতেই এক-আধটা সবে ধন নীলমণি। মানে একটি করে সন্তান। আর মা-বাবা দুজনে কর্মরত। ফলে, বাচ্চার আদর চারগুণ বেড়ে গিয়েছে। সে যা চায়, যখন চায় সবই হাতের কাছে চলে আসে। শাসন বলতে কী, তা তাদের তেমন বুঝতে হয় না। আবার অনেক বাচ্চাই দাদু-দিদার কাছে
বড় হয়। ফলে, আদের বাঁদর হতে খুব বেশি সময় লাগে না। ছোট বয়সে সব ঠিক থাকলেও, সমস্যাটা একটু বড় হতে বোঝা যায়। বাচ্চা যখন বিগড়ে যেতে শুরু করে, তখন বাড়ির লোক বোঝেন কী ভুলটাই না করেছেন। আপনিও যদি এমন করে চলেন তাহলে তা বন্ধ করুন। বাচ্চাকে সঠিক ভাবে মানুষ করাটা বেশি দরকার। শেখান সঠিন ম্যানার্স। আজকাল সব মা-বাবারা এই কয়টি ভদ্রতা শেখাতে ভুলে যান।
চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
১. বাচ্চাকে অন্যের সঙ্গে সাক্ষাত করতে শেখান। একা বড় হওয়ার জন্য
অনেক বেশি লজ্জা ভাব দেখা যায়। এটা দূর করানো অভিভাবকের কাজ। তা না হলে, সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে, কারও সাথে দেখা হলে, কীভাবে কথা শুরু করবে সেই শিক্ষাদিন।বাকিটা সে নিজে শিখে যাবে।
২. অন্যের কথা শুনতে শেখান। অনেক বাচ্চাই প্রচুর কথা বলে, অন্যের কথা শোনে না। সব সময় আলাপচারিতা যে দু পক্ষের হয়, তা শিক্ষা দিন।
৩. ধন্যবাদ জ্ঞাপনের শিক্ষাদিন বাচ্চাকে। কেউ কিছু উপহার দিলে, বা কোনও কিছু সাহায্য করলে ধন্যবাদ বলতে বলুন। এই ভদ্রতা ছোট থেকে শেখা খুবই দরকার।
৪. আজকাল সকলেই ফোনের ওপর ভরসা। তা কারও খবর নিতে হোক কিংবা জরুরি কাজে। বাচ্চাদের হাতেও ছোট থেকেই মোবাইল রয়েছে। এই ফোনে কীভাবে কথা বলতে হয় বাচ্চাকে শেখান। কেউ ফোন করলে কেমন করে উত্তর দিতে হয়, কিংবা নিজে কোথাও
ফোন করলে কীভাবে কোন টোনে কথা বলতে হয়, শিক্ষা দিন। এটাও একটা ম্যানার্সের মধ্যে পড়ে।
৫. পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে মাসে দুবার রেস্তোরাঁ, বন্ধু বা পরিজনদের সঙ্গে গেট টুগেদারের আয়োজন হয়ে থাকে। এমন জায়গায় কেমন আচরণ করা উচিত তার শিক্ষা দিন।