ঘরেই তৈরি করুন আপনার বাচ্চার সেরিলাক, যা অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু!

ঘরেই তৈরি করুন আপনার বাচ্চার সেরিলাক, যা অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু!

উপাদানঃ ১.লালচাল বা আতপ চাল- দেড়কাপ ২.মাষকলাই ডাল- এক কাপ ৩.সবুজ বুটের ডাল- এক কাপ ৪.মুগ ডাল- এক কাপ ৫.খোলায় ভেজে নেওয়া ছোলা- এক কাপ ৬.মসুর ডাল- এক কাপ ৭.ভাঙ্গা গম- এক কাপ ৮.সাবুদানা- আধা কাপ ৯.বুটের ডাল-

আধা কাপ ১০.ভুট্টাদানা- আধা কাপ ১১.কাঠবাদাম- আধাকাপ ১২.কাজুবাদাম- আধাকাপ ১৩.এলাচদানা- ৮-১০টা প্রস্তুত প্রনালীঃ কাঠবাদাম, কাজুবাদাম আর এলাচ বাদ দিয়ে বাকি উপাদানগুলো সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন এগুলো ভালো করে ধুয়ে পানি শুকিয়ে নিন। এরপর নীচের নিয়মানুযায়ী একে একে সবগুলো উপাদান শুকনো খোলায় ভাঁজতে থাকুন। চালগুলো কিছুটা ফুলে ওঠা না

পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। ডাল আর গমের গুঁড়া বাদামী আর কিছুটা মুচমুচে হওয়া পর্যন্ত ভাঁজুন। সবুজ বুটের ডাল সবুজ থেকে বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভাঁজুন। সাবুদানা কিছুটা কুড়মুড়ে ও শুকনো করে ভেজে নিন। *টেলে নেওয়া ছোলা আরও কিছুক্ষণ ভেঁজে মুচমুচে করতে হবে। ভুট্টা মুচমুচে হয়ে ফুটতে শুরু করা পর্যন্ত ভাঁজুন। কাঠবাদাম আর এলাচদানা ঘ্রাণ ছড়ানো পর্যন্ত ভাঁজুন। কাজুবাদাম সোনালি করে

ভেঁজে নিন। এখন ভাঁজা উপাদানগুলোকে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা ডাল, বাদাম, চাল আর মশলা ব্লেন্ডার বা গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নিন। ব্যাস, তৈরি পুষ্টিকর ঘরোয়া সেরেলাক। এয়ারটাইট কন্টেইনারে সংরক্ষণ করে ৪ থেকে ৬ মাস ব্যবহার করতে পারেন এই পুষ্টিকর শিশুখাদ্যটি। বাচ্চাকে কিভাবে খাওয়াবেন? এক কাপ দুধ নিয়ে ফুটে উঠতে দিন। এরপরে এতে দুই চা চামচ সেরেলাক মেশান আর

নাড়তে থাকুন যাতে জমাট না বেঁধে যায়। এভাবে ঘন পেস্ট তৈরি হবে। প্রয়োজনে আরও দুধ মেশাতে পারেন। হয়ে গেলে জ্বাল বন্ধ করে দিন। গরম থাকতে থাকতেই খাওয়ান আপনার বাচ্চাকে। কিছু বিষয় মনে রাখা জরুরীঃ খাবারটির সাথে আপনার পছন্দমত ফল যেমন কলা, আপেল বা সফেদা মেশাতে পারেন। মিষ্টি করতে চাইলে চিনির পরিবর্তে গুড় মেশান। এক বছরের নীচের বাচ্চাদের বাদাম

না দেওয়াই ভাল। ডাল আটমাসের বেশি বয়সের বাচ্চাদের দেওয়া যায়। কিন্তু হজম হওয়ার জন্য সেটা যেন নরম হয় সেটা খেয়াল রাখুন।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Check Also

৬টি সহজ টিপস, যা আমরা অনেকেই জানি না!

৬টি সহজ টিপস, যা আমরা অনেকেই জানি না!

1. সহজেই ভালো-খারাপ ডিম চেনার উপায় : শহরের এই কাজের চাপে বারে বারে দোকানে যাওয়া …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *