নারী বা পুরুষ উভয়ের সৌন্দর্যের জন্য চুল এর তুলনা হয় না। কেননা,স্বা’স্থ্যবান ও সুন্দর চুল সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের ব্যক্তিত্বের উপর দারুন প্র’ভাব বি’স্তার করে থাকে। একেক জন মানুষের চুলের গড়ন একেক রকম হয়ে থাকে। তাই চুলের ধ’রণ অনুসারে চুলের যত্ন
নিতে হয়। নারী ও পু’রুষ সকলের জন্য চুলের যত্ন নেওয়া আবশ্যক নতুবা অকালে চুল প’ড়ে মাথা টাক হয়ে যাবে। অকালে চুল ঝ’ড়ে পড়ার বিষয়টি সকলেরই জন্য বিব্রতকর ও যান্ত্রনাদায়ক ব্যাপার। এছাড়াও চুলের স্বা’স্থ্যের জন্য খুশকি একটি অন্যতম বিরাট স’মস্যা। অধিক পরিমাণে চুুল ঝ’ড়ে পড়া, রুক্ষ চুল, বিভিন্ন ধ’রণের স্ক্যাল্প ইনফেকশনের জন্য এই খুশকি অন্যতম দায়ী। তাই এই বিষয়টি অবহেলা না করে
নিয়মিত চুলের যত্ন নেওয়া উচিৎ। টাক প্র’তিরো’ধ বা চুল ঝ’ড়ে পড়া প্রতিরোথ ক’রতে অনেকে নানা প্রকারের ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তুু তাতে তেমন কোন সুফল পাওয়া যায় না। বরং এতে কেমিকেল জনিত উপাদন চুলে ব্যবহার কারণে এর কুপ্র’ভাব লক্ষ্য করা যায়। এক নজরে দেখে নিন প্রাকৃতিকভাবে যে নিয়মে চুল ঝ’ড়ে পড়া বা টাক প্র’তিরো’ধ করবেন। ১। সবুজ শাকসবজি বিশেষ করে পাতা জাতীয়
সবজি যেমন: বাঁ’ধাকপি, পালংশাক, লাল শাক, লাউ শাক, ডাটা শাক, ব্রকলি, ফুলকপি ইত্যাদি। এতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ড যা আপনার চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যোগান দিতে সহায়তা করবে। এই সবুজ শাকসবজি চুলের গোড় মজবুত ক’রতে সহায়তা করে। রোজ পরিমিত পরিমাণে সবুজ শাকসবজি পাতে রাখু’ন। ২। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ চুুল ঝ’ড়ে পড়া প্র’তিরো’ধ
ক’রতে খুবই কা’র্যকর। যেসকল মাছে ওমেগা ফ্যাট ৩ অ্যাসিড রয়েছে, সেসকল মাছ প্রতি সপ্তাতে ৩/৪ দিন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। দেখবেন চুল পড়ার স’মস্যা অনেকটাই কমে গেছে। ৩। গাজরকে সুপারফুড বলা হয়ে থাকে। শ’রীরের রো’গ প্র’তিরো’ধ ক্ষ’মতাকে উন্নত ক’রতে গাজরের জুড়ি মেলা ভার। তাই চুল ও ত্বকের যত্নে গাজরের ভূমিকা অপরিসীম। গজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারেটিন,
ভিটামিন এ যা চুলের গোড়া মজবুত করে থাকে। ভিটামিন চুলের গোড়ায় এক ধ’রণের প্রাকৃতিক তেল উৎপন্ন করে থাকে যা চুলের জন্য খুবই উপকারি। তাই পাতে গাজর রাখু’ন।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।