মূলত বজ্রপাত হল মেঘের বৈদ্যুতিক চার্জিত অঞ্চল থেকে হঠাৎ চার্জ নিঃসরণ। এই চার্জ নিঃসরণ মূলত মেঘ ও ভূমির মধ্যকার বা পাশাপাশি দুই মেঘের মধ্যকার চার্জের তারতম্যের কারণে হয়ে থাকে।বেশিরভাগ সময়েই বজ্রপাত মূলত মেঘে মেঘে ঘটে থাকে। খুব কম





বজ্রপাতই মেঘ ও ভূমির মধ্যে ঘটে থাকে। সাধারণত এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যেই বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতের প্রকোপ বেড়ে যায়। সকল মানুষই বজ্রপাতের সময় ভীতসন্ত্রস্ত থাকেন, এমনকি তারা জানেনও না কি কি করা উচিত আর উচিত নয়। জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাতের সময় কি কি করণীয় রয়েছে –





১) বজ্রপাতের সময় বাড়ির ধাতব বস্তু গুলি একেবারেই স্পর্শ করবেন না যেমন ধাতব রেলিং, লোহার কল, পাইপ ইত্যাদি।
২) প্রতিটি বিল্ডিংয়েই বজ্রনিরোধক দণ্ড লাগানো উচিত।
৩) সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বজ্রপাতের সময় কখনোই খোলা জায়গা, মাঠ বা উঁচু স্থানে থাকবেন না।





৪) কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকে তাহলে সবাই এক ঘরে না থেকে আলাদা আলাদা ঘরে যান।
৫) বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গায় কোনো বড় গাছের নিচে আশ্রয় নেয়া যাবে না। গাছ থেকে অন্তত চার মিটার দূরে থাকতে হবে। ৬) এই সময় বৈদ্যুতিক তার বা ছেঁড়া বৈদ্যুতিক তার থেকে অনেকটাই দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৭) সবার প্রথমে বাড়ির বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতির প্লাগগুলো কারেন্ট থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। এর ফলে বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলি ক্ষয় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।





৮) বজ্রপাতে আহতদের বৈদ্যুতিক শকে মতো করেই চিকিৎসা দিতে হবে।
৯) সাধারণত এপ্রিল জুন মাসে বজ্রপাতের প্রকোপ অনেকটাই বেশি থাকে, তাই মেঘ দেখে বাড়ির বাইরে বের হবেন না।
১০) যতদূর সম্ভব কোন কংক্রিটের ছাদ বা দালানের নিচে আশ্রয় নিন।
১১) বজ্রপাত চলাকালীন জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় কখনোই থাকবেন না। এমনকি বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিগুলি থেকেও দূরে থাকুন।





১২) উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি, তার, ধাতব খুঁটি ও মোবাইল টাওয়ার ইত্যাদি থেকে দূরে থাকুন।
১৩) বজ্রপাতের সময় খুব প্রয়োজনে যদি বাইরে বের হতে হয় তাহলে প্লাস্টিকের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করুন।
১৪) আকাশে ঘন কালো মেঘ দেখা দিলে পুকুর নদী অথবা কোন জলাশয় এর কাছাকাছি যাবেন না। বিশেষ করে এই সময় মাছ ধরা থেকে বিরত থাকুন।





১৫) বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে থাকলে পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে পড়ুন।
১৬) বজ্রপাতের সময় গাড়ির মধ্যে থাকলে, গাড়ির থাতব অংশের সঙ্গে শরীরের স্পর্শ করা না। সম্ভব হলে গাড়িটিকে নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।









