বাবা-মায়েদের ৫টি সাঙ্ঘাতিক ভুল ধরিয়ে দিলেন মনোবিদরা!
Image: google

বাবা-মায়েদের ৫টি সাঙ্ঘাতিক ভুল ধরিয়ে দিলেন মনোবিদরা!

সন্তান বড় হয়ে কেমন মানুষ হবেন, তার একটা বড় দায় কিন্তু বর্তায় অভিভাবক এবং পারিপার্শ্বিক পরিবেশের উপর। সব অভিভাবকই চান যে তাঁর সন্তান জীবনে সফল হোক বা তাঁর জীবনে ভাল হোক, সেই মতোই সন্তানের বিষেয় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাঁরা। কিন্তু

অনেক ক্ষেত্রেই কিছু ভুল করে বসেন অভিভাবকেরা এবং তার ফলাফল খুব একটা ভাল হয় না। ক্লিনিকাল সাইকোলজিস্ট বারবারা গ্রিনবার্গ বিদেশে মূলত ‘টিন ডক্টর’ নামেই পরিচিত। তাঁর স্পেশালাইজেশন মূলত বয়ঃসন্ধির মনস্তত্ত্ব, আর এই সময়েই অভিভাবকদের অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং সতর্ক থাকতে হয়। বারবারা তাঁর একটি লেখায় অভিভাবকদের পাঁচটি ভুল নিয়ে আলোচনা করেছেন যা সংক্ষেপে তুলে ধরা হল নীচে—

প্রথম ভুল:
বেশিরভাগ বাবা-মায়েদের ক্ষেত্রেই দেখা যায় হয় তাঁরা সন্তানকে নিয়ে বড্ড বেশি ব্যতিব্যস্ত, নয়তো উদাসীন। এই দুটোর কোনওটাই ভাল প্রভাব ফেলে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কড়া শাসন প্রয়োজন যেমন, আবার কখনও কখনও প্রশ্রয়ও দরকার।
দ্বিতীয় ভুল:
সন্তানকে ভাল ভাবে না বোঝা। বেশিরভাগ অভিভাবক এই বিষয়টার উপর গুরুত্বই দেন না যে তাঁর সন্তান একজন স্বতন্ত্র মানুষ। সে তার মতো হবে এবং হতে চাইবে। তার ইচ্ছে-অনিচ্ছে, তার ভাললাগা এবং তার বুদ্ধিবৃত্তি কতটুকু সেটা বুঝতে হবে প্রথমে। এমনটা নয় যে কেউ বিদূষী বলে তাঁর সন্তানকেও বিদ্যান হতেই হবে।

তৃতীয় ভুল:
সন্তানের প্রতি উদ্বেগ তার সামনে প্রকাশ করলেই সন্তান সঠিক পথে চলবে, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। বরং উদ্বেগটা মনের মধ্যে রেখে, সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়াটাই উচিত। বাবা-মার উদ্বেগ দেখে খুব হাতেগোনা সন্তান নিজে থেকে ঠিক পথে চলে। তাকে হাত ধরে ঠিক রাস্তায় নিয়ে আসতে হয়।

চতুর্থ ভুল:
সন্তানের গায়ে কোনও লেবেল এঁটে দেওয়া হল সবচেয়ে খারাপ বিষয়। সে ‘স্মার্ট’ নাকি ‘ক্যাবলা’, ‘ভাল ছেলে’ না ‘বাজে মেয়ে’, কথায় কথায় এই বিচার করলে তার কুপ্রভাবই পড়ে সন্তানের উপর। এর সঙ্গেই চলে আসে তুলনামূলক আলোচনা। অমুকের চেয়ে ভাল বা তমুকের চেয়ে খারাপ। এই প্রবণতা থেকে বিরত থাকতে হবে অভিভাবকদের।
পঞ্চম:
অভিভাবককে সব সময় ছেলেমেয়েদের ‘রোল মডেল’ হতে হয় না। যাঁরা সেই চেষ্টা করেন, তাঁরা সন্তানের চোখে তখন ছোট হয়ে যান যখন তাঁদের খামতিগুলো সন্তানের চোখের সামনে আসে। আর তখনই সন্তান তাঁদের অভিভাবকত্বকে অস্বীকার করতে শুরু করে দেয় মনে মনে।

Check Also

আকর্ষণীয় ফিগার

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে চাইলে যা করবেন

আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ। যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *