প্রাকৃতিকভাবে উপায়ে রক্তশূণ্যতা দূর করে পুঁইশাক
Image: google

প্রাকৃতিকভাবে রক্তশূণ্যতা দূর করে পুঁইশাক!

স্বাস্থ্যকর সবজি হিসেবে পুঁই শাকের জুড়ি নেই। সমগ্র বিশ্বজুড়ে এই সবজির ব্যাপক চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। এটি এমনি এক প্রকার সবজি যার কাণ্ড, পাতা, ডাঁটা, বীজ সবই খাওয়ার যোগ্য।

বিভিন্ন প্রকার শারীরিক সমস্যা সমাধানে পুঁই শাক দীর্ঘ কাল হতে ব্যবহার হয়ে আসছে। এই সবজির পাতায় খুব অল্প পরিমাণে ক্যালরি থাকে। তবে এটি পুষ্টিগুণে অনন্য। পুঁই শাকে রয়েছে ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ফলিক অ্যাসিড, থায়মিন, নিয়াসিন

এবং নানা প্রকার খনিজ উপাদান। যেমন: আয়রণ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম। আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্রে পুঁই শাক বহুকাল হতে পরিমিত ঘুমের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। পুঁই এর পাতা এক সময় গোসলের ৩০ মিনিট আগে বেটে মাথায় লাগানো হতো পরিমিত ঘুমের জন্য। এছাড়াও আলসার, ত্বকের সমস্যা, মাথা ঠাণ্ডা রাখা এবং গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় পুঁই শাক। মুখের ক্যান্সার, লিউকেমিয়াসহ বিভিন্ন

রোগের চিকিৎসায় প্রতিষেধক হিসেবে এই পুঁই শাক ব্যবহার হয়ে করা হয়ে থাকে। পুঁই শাকে রয়েছে রিঅ্যাকটিভ অক্সিজেন স্পিসিজ নামক এক প্রকার উপাদান যা বয়স ধরে রাখে এবং বার্ধ্যককে দূরে ঠেলে দেয়। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পুঁই শাক রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে থাকে। সেই সাথে যাদের হার্ট এর দূর্বলতা রয়েছে তাদের হার্ট অ্যাটকের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। শরীরের খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা

কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল এর মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে পুঁইশাক। নিয়মিত পুঁইশাক খেলে শরীরের রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার কারণে এটি ডায়াবেটিসসহ রক্ত শূন্যতায় বিশেষভাবে উপযোগী। এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের খনিজ থাকায় পুঁইশাক রক্তশূণ্যতা দূর করতে

কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই চিকিৎসকরা রক্তশূণ্যতা জনিত সমস্যায় পুঁইশাক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকে। বাজারে প্রচলিত দু প্রকারের পুঁইশাক পাওয়া যায় একটি সবুজ, অপরটি লাল। তবে সবুজ পুঁইশাক রক্তশূন্যতা দূর করতে সহায়তা করে থাকে। এজন্য লাল পুঁইশাক নয় সবুজ পুঁইশাক সপ্তাতে কমপক্ষে ৩ দিন পাতে রাখার চেষ্টা করুন।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *