প্রাত্যহিক জীবনে নানা প্রয়োজনীয় কাজে আমরা ব্লেড ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন, ব্লেডের যে নকশা তা আজও অপরিবর্তিত!কেন ব্লেডের এই নকশার বদল ঘটেনি, আর কেনই বা এই নকশা করা হয়েছে? যুগের পর যুগ একই স্টাইল ধরে রাখার
রহস্য কি তা নিশ্চয় জানতে ইচ্ছে করছে? চলুন তবে জেনে নেয়া যাক ব্লেডের এই নকশা ও তা অপরিবর্তিত থাকার রহস্য।১৯০১ সালে জিলেট কর্মসংস্থার প্রতিষ্ঠাতা কিং ক্যাম্প জিলেট এবং সহকর্মী উইলিয়াম নিক্সারসন একটি ব্লেডের ডিজাইন করে আমেরিকায় ব্যবসা শুরু করেন। সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হবার ৩ বছর পর প্রথমে ১৬৫ টি ব্লেড প্রস্তুত করেন। এরপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। যাবতীয়
চিন্তাভাবনা করেই ব্লেডের সঙ্গে রেজারের হাতল আটকানোর জন্য স্ক্রু ও নাট-বল্টু ব্যবহৃত হত। কেন অন্যান্য সংস্থাও এই স্টাইল ও নকশা অনুকরণ করল? কারণ হিসাবে জানা যায়, সে সময় একমাত্র জিলেটই রেজার তৈরি করত। তাই অন্যান্য সংস্থাও একই পথে হাঁটা শুরু করেছিল ।বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরণের ব্লেড বের হলেও, যদি কেউ হঠাৎ ব্লেড কথাটা উচ্চারণ করে তাহলে কিন্তু সেই একই নকশার চেহারা চোখের সামনে ভেসে উঠে আসবে। শুধুমাত্র মনের জোর আর কঠিন পরিশ্রমকে সঙ্গী করে জীবন যুদ্ধে জয় হয়েছেন
পেশায় মুচি বাবার এক কন্যা। দ্বাদশ শ্রেণীতে তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৭%। সংসারে রয়েছে ৮ জন সদস্য। মধ্যপ্রদেশের শেরপুরে হরিজন বস্তিতে মাত্র দুটো কামরায় থাকা হয় ৬ জন ভাই-বোনসহ ৮ জন সদস্য। এই ঘরে বসেই সে অসাধারণ নম্বর করেছে। স্বপ্ন দেখেছে চিকিৎসক হওয়ার। ১৭ বছরের মধু আর্যের চোখে মুখে এখন শুধুই স্বপ্ন। কানহাইয়ালাল,যিনি মধুর পিতা, পেশায় একজন মুচি। স্থানীয় এক বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাতে বসে সমস্ত মানুষের পায়ের জুতো সেলাই করেই তার দিন গুজরান হয়। তারই মেয়ে ৫০০-র মধ্যে পেয়েছে
৪৮৫, বিজ্ঞান বিভাগে। প্রতিদিন সকাল বেলা ৪টের সময় ঘুম থেকে উঠে সারা দিনে প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন মধু। শুধুমাত্র সে এখন চায় তার চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন যেন পূরণ হয়, আর এর জন্য তিনি সরকারি সাহায্য চেয়েছেন। দিনরাত এক করে ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছেন মধু। তবে আশার আলো তার, আর্জি চোখে পড়েছে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ
সিং চৌহান এর। তিনি তাকে টুইট করে জানিয়েছেন, সরকার সব রকম ভাবে তার পাশে থাকবে। খুব সহজেই যাতে তার স্বপ্ন পূরণ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখবে সরকার।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।