হার্টঅ্যাটাকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। হৃদরোগ যে কোনো বয়সি মানুষের হতে পারে। হার্টের অসুখ সময়মতো ধরা না পড়লে বিপদের কারণ হতে পারে। জীবনযাপনে সচেতনতা অবলম্বন করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব। এ বিষয়ে সিডিসি (সেন্টারস ফর ডিজিজ
কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন) বলছে, অগোছালো জীবনধারা, বয়সবৃদ্ধি এবং পারিবারিক রোগের ইতিহাস হৃদরোগ ও হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের বিকল্প নেই।
আসুন জেনে নিই হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো কিছু টিপস সম্পর্কে—
১. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিডিসি বলছে, আপনার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
২. রক্তচাপ উচ্চ রক্তচাপ আপনার হার্টের কাজের চাপ বাড়িয়ে দেয়। ফলে হৃৎপিণ্ডের পেশি ঘন ও শক্ত হয়ে যায়। তাই আপনার উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন। এ ছাড়া এমন সব খাবার এড়িয়ে চলুন যেগুলো রক্তচাপকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে অনেকটাই হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যেতে পারে। তাই হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে হলে নিজের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পদক্ষেপ নিন এবং এমন সব খাবার পরিহার করুন যেগুলো আপনার ওজন বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। ৪. ধূমপান ও অ্যালকোহলকে ‘না’ ধূমপান ও অ্যালকোহল হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে অনেক বেশি। এমনকি সিগারেটের
প্যাকেটের ওপরেও লেখা হয়ে থাকে যে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এগুলো উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ফেইলিওর এবং স্ট্রোকসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। তাই এগুলোর অভ্যাস থাকলে পরিহারে পদক্ষেপ নিন এখনই।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।