শরীরের ফেটে যাওয়া দাগ সারানোর ৫টি ঘরোয়া উপায়
Image: google

শরীরের ফেটে যাওয়া দাগ সারানোর ৫টি ঘরোয়া উপায়!

শরীরের ফেটে যাওয়া দাগ (spot) সরানোর ৫টি ঘরোয়া উপায়ে সন্তান জন্মানোর পর একটা বাড়তি পাওনা হল পেটে স্ট্রেচ মার্কস। যার জন্য মাঝে মাঝেই বেশ অস্বস্তিতে পড়তে হয়। নিজের মনের মত পোশাক তো দূর, রোজকার কাজে শাড়ি পরে বাইরে বেরোলেও অনেক সাবধানে

থাকতে হয়। আর এই দাগ(spot) যেতেও চায় না। এই ফেটে যাওয়া দাগ সরাতে তো আর পার্লারে ছুটবেন না। তাহলে উপায়?আজ সেই উপায় নিয়ে হাজির আমরা। দেখুব কীভাবে দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন এই দাগ থেকে। তেল মালিশঃ তেল মালিশ কিন্তু খুব ভালো একটা উপায়

এই ধরণের দাগ থেকে মুক্তি পেতে। তবে এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে দু’রকম তেল। এমনি যে কোনো তেলের সাথে এসেনশিয়াল অয়েল। যেখানে এসেনশিয়াল অয়েল শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জোগান দেয়, দাগ (spot) মেলাতে সাহায্য করে।আর এমনি তেল স্কিনকে হাইড্রেটেড

রাখে,ময়েশ্চারাইজড রাখে। স্কিনকে ভেতর থেকে নারিশ করে। তাই রোজ এই তেল ব্যবহার করলে, দাগ (spot) ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাবে। চলুন তবে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-

কীভাবে বানাবেন এই তেল দেখে নিন। পদ্ধতি – যে কোনো তেল যেমন নারকেল তেলের সাথে গ্রেপসিড এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে সেই তেল মাখতে পারেন। এছাড়াও একইভাবে আমণ্ড তেলের সাথে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়েও তৈরি করতে পারেন। এমনি সাধারণ তেল যে পরিমাণ নেওয়া হবে, সেই একই পরিমাণ এসেনশিয়াল অয়েল কিন্তু লাগবে না। এসেনশিয়াল অয়েলের পরিমাণ অর্ধেক হবে। মানে ধরুন নারকেল তেল যদি ১০০ গ্রাম হয়,তাহলে এসেনশিয়াল অয়েল হবে ৫০ গ্রাম। এটা একদম হালকা হাতে ম্যাসাজ করে লাগাবেন। এটা

রোজই করতে পারেন ভালো ফল পাওয়ার জন্য। ভিটামিন ই এর পুষ্টিঃ ভিটামিন ই কিন্তু অসাধারণ কাজ করবে, এই দাগকে (spot) ধীরে ধীরে হালকা করতে। ব্যবহার করুন ভিটামিন ই অয়েল। পদ্ধতি – ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল কিনে নিন। আপনার রোজের ময়েশ্চারাইজারের সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মেশান।ভালো করে মিশিয়ে,এটা এবারদাগের জায়গায় লাগান। হালকা ম্যাসাজ করে লাগান। রোজ করুন এটি। দেখবেন ধীরে ধীরে দাগ হালকা হচ্ছে।অলিভ তেলঃ যদি কোনো এসেনশিয়াল অয়েল না পান,তাহলে কাজে লাগান শুধু অলিভ তেলকে। এতে

আছে ভিটামিন এ,ডি ও ই যা স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করে। স্কিনকে রাখে ময়েশ্চারাইজড।রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে।তার ফলে দাগ (spot) ধীরে ধীরে হালকা হয়। উপকরণ: ২ চামচ অলিভ তেল। পদ্ধতি – অলিভ তেল হাতে নিয়ে হালকা হাতে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করুন।এরপর একঘণ্টা থেকে আধঘণ্টা রেখে দিন।তারপর স্নান করে নিন। এটা রোজ স্নানের আগে রুটিন করে নিন। রোজ লাগালে ভালো ফল পাবেন। একইভাবে অলিভ তেলের সাথে একটু ভিনিগার ও জল মিশিয়েও লাগাতে পারেন। এতেও ভালো কাজ হবে। অ্যালোভেরা জেলঃ এটা একটা খুব ভালো

ট্রিটমেন্ট ফেটে যাওয়া দাগ সরাতে। অ্যালোভেরা জেল স্কিনকে হাইড্রেড করে এবং দাগ (spot) হালকা করতে সাহায্য করতে। উপকরণ: ১ থেকে ২ চামচ অ্যালোভেরা জেল। পদ্ধতি –অ্যালোভেরা জেল নিয়ে ওই দাগের (spot) জায়গায় লাগান।হালকা ম্যাসাজ করে লাগাবেন। ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগাবেন যতক্ষণ না স্কিনে ওটা ভালো ভাবে মিশে যাচ্ছে। স্কিনে ভালো ভাবে মিশে গেলে,ব্যাস তারপর আর ম্যাসাজ করার দরকার নেই।এটা ধোবার দরকার নেই।রাতে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। এটা রোজ রাতে করুন। তবে সময় থাকলে দিনে দু’বার করেও

লাগাতে পারেন, আরও ভালো ফলের জন্য। বেকিং সোডা ও লেবুঃ এটা জাস্ট অসাধারণ কাজ করবে ফেটে যাওয়া দাগ (spot) সরাতে। কারণ বেকিং সোডা এমনিতেই স্কিনকে এক্সফোলিয়েট করে। আর লেবুর রস স্কিনে ব্লিচিং এর কাজ করে।যে কোনো দাগ তুলতেই সক্ষম লেবুর রস। তাই এই দুটো একসাথে মিশে কত ভালো কাজ করবে,নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন। উপকরণ: ১ চামচ লেবুর রস ও ১ চামচ বেকিং সোডা। পদ্ধতি – লেবুর রস ও বেকিং সোডা ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এটা ওই দাগ (spot) পড়ে যাওয়া অংশে লাগান।হালকা শুকিয়ে

গেলে,মানে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ঘষে ঘষে তুলে দিন। মানে একটু স্ক্রাবিং করে নিন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এটা সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন করুন। একমাস পর অনেকটা উন্নতি চোখে পড়বে।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Check Also

খুশকির সমস্যা চিরতরে দূর হবে এই ঘরোয়া টোটকায়

খুশকির সমস্যা চিরতরে দূর হবে এই ঘরোয়া টোটকায়

শীতকালে অনেকের চুলেই খুশকির সমস্যা দেখা দেয়। খুশকি কেবল চুলকে ময়লাই দেখায় না, চুলের বিভিন্ন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *