যন্ত্রণাদায়ক নখকুনি থেকে সহজে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়
Image: google

যন্ত্রণাদায়ক নখকুনি থেকে সহজে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়!

কুনি নখ খুবই যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা। হাতে বা পায়ের নখে এই সমস্যা হলে বেশ কয়েক দিন হাঁটাচলা বা কাজ করতে বেশ অসুবিধা হয়। নখ কাটতে গিয়ে বা কোনো কিছুতে লেগে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষত স্থানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে কুনি নখের মতো যন্ত্রণাদায়ক

সমস্যার সৃষ্টি হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও’র ‘ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’-এর পোডিয়াট্রিস্ট (বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক) জিওরজিয়ানি বুটেক জানান, নখের পাশের ত্বকের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া ফাটলের মধ্য দিয়ে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে সংক্রমণ সৃষ্টি করে। এর ফলে আরো অনেক বেশি যন্ত্রণা

হতে থাকে। তবে কয়েকটি ঘরোয়া উপায় কাজে লাগিয়ে এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেয়া যাক কুনি নখের ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে- 1. সাদা ভিনেগার ২ কাপ উষ্ণ গরম পানিতে ১ কাপ সাদা ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এই ভিনেগার মেশানো পানি

মিনিট পনেরো কুনি নখে আক্রান্ত আঙুলটি ডুবিয়ে রাখুন। তারপর শুকনো করে মুছে নিন। দুই-এক দিনের মধ্যেই সেরে যাবে কুনি নখ। 2. টি ট্রি অয়েল ১ চামচ নারকেল তেলে ২ থেকে ৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিন। এই তেল তুলো দিয়ে কুনি নখ আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে মিনিট দশেক রেখে দিন। দিনের মধ্যে দুই-তিন বার এমনটা করতে পারলে দ্রুত সেরে যাবে কুনি নখ। 3. রসুন ১ কাপ সাদা ভিনেগারের সঙ্গে

কয়েক কোয়া রসুন কুচিয়ে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ কুনি নখ আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে পরিষ্কার কাপড় বা ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে রাখুন। যত দিন না সারছে, তত দিন এই পদ্ধতি মেনে চলুন। উপকার পাবেন। 4. অ্যাপল সিডার ভিনেগার ২ কাপ পানির সঙ্গে ২ কাপ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে ওই মিশ্রণে ৩০ মিনিট কুনি নখ আক্রান্ত আঙুলটি ডুবিয়ে রাখুন। তারপর শুকনো করে মুছে নিন। দুই-তিন দিনের মধ্যেই

সেরে যাবে। 5. পাতিলেবুর রস কুনি নখ আক্রান্ত অংশের জায়গায় দুই-এক ফোঁটা পাতিলেবুর রস লাগান। ২৫ থেকে ৩০ মিনিট রেখে উষ্ণ গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। যত দিন না সারছে, তত দিন এই পদ্ধতি মেনে চলুন। উপকার পাবেন।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *