কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ-রেসিপি ও পুষ্টিগুণ!
Image: google

কচুর লতি দিয়ে চিংড়ি মাছ-রেসিপি ও পুষ্টিগুণ!

অনেকের পছন্দের খাবার ।কিন্তু অনেকে হয়তো রেসিপির জন্য রান্না করা হয় না। তাদের জন্য আজকের আযোজন। কচুর লতির পুস্টি গুন— ১.কচুর লতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ। লতি মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। গর্ভ্স্থ অবস্থা, খেলোয়াড়,

বাড়ন্ত শিশু, কেমোথেরাপি পাচ্ছে এমন রোগীদের জন্য কচুর লতি ভীষণ উপকারী। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম। ক্যাল সিয়াম হাড় শক্ত করে। ২.এই সবজিতে ডায়াটারি ফাইবার বা অশের পরিমাণ খুব বেশি। এই আশ খাবার হজমে সাহায্য করে দীর্ঘ বছরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ৩.ভিটামিন : ভিটামিন সিও রয়েছে কচুর লতিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে যা সংক্রামক রোগ থেকে আমাদের

দূরে রাখে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দ্বিগুন করে। ৪.কোলেস্টেরল বা চর্বি কিছু পরিমাণ ভিটামিন বি হাত পা মাথার উপরিভাগে গরম হয়ে যাওয়া, হাত পায়ে ঝি ঝি ধরা বা অবশ ভাব এ সমস্যাগুলো দূর করে। ৫.মস্তিষ্কে সুষ্ঠভাবে রক্ত চলাচলের জন্য ভিটামিন বি ভীষণ জরুরি। ৬.আয়োডিন : আয়োডিন খাবার হজমের পর বর্জ্য দেহ থেকে সঠিকভাবে বের হতে সাহায্য করে। তাই কচুর লতি খেলে

অ্যাসিডিটি ও গ্যাস্টিকের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে খুব কম। ৭.ডায়াবেটিস : কচুর লতি রক্তে চিনির মাত্রা বাড়ায় না তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা নিঃসংকোচে খেতে পারেন কচুর লতি।

উপকরণ:
কচুর লতি – ১ আঁটি চিংড়ি – ১/২ কাপ পেয়াজ কুচি – ১ টেবিল চামচ কাঁচামরিচ ফালি – ৬ টা পেয়াজ ও জিরা বাটা – ২ চা চামচ রসুন বাটা – ২চা চামচ আদা বাটা – ২চা চামচ হলুদ গুড়ো – ১ চা চামচ মরিচ গুড়ো – ১ চা চামচ ধনে গুড়ো – ১/২ চা চামচ লবন স্বাদ মত তেল ২ টেবিল চামচ।

প্রণালী:
১.চিংড়ি পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। ইচ্ছে হলে খোসা ছাড়িয়ে নিতে পারেন। সামান্য লবনমাখিয়ে কিছু সময় রেখে দিন। ২.লতি ছুলে নিন।ভাল করে ধুয়ে পানি ঝরাতে দিন। ৩.কড়াইতে তেল দিন। তেল গরম হলে এতে লবন মাখানো চিংড়ি দিন। ১ মিনিট নেড়ে নিয়ে উপর থেকে এক চিমটে হলুদ গুড়ো ছিটিয়ে দিন। নেড়েচেড়ে নামিয়ে নিন। ৪.চিংড়ি খুব অল্প সময় ভেজে নামিয়ে নিবেন। বেশি সময় ভাজলে

শক্ত হয়ে যাবে।অল্প আঁচে দ্রুত শক্ত হয়ে যায়। ৫.ওই তেলে পেয়াজ কুচি দিন এবং নাড়তে থাকুন। পেয়াজ হালকা ভাজা হতে দিন। এতে গোটা জিরা দিন ও নাড়তে থাকুন ৬.পেয়াজের রঙ সোনালী হলে এতে সামান্য হলুদ দিন। ৭.এবার একে একে আদা বাটা,রসুন বাটা,পেয়াজ বাটা দিয়ে মেশাতে থাকুন। প্রথমে হলুদ দিয়ে নিলে তেল ছিটবে না। না হলে তেলে বাটা মশলা দিলে চারিদিকে ছিটতে থাকবে। নেড়ে নিয়ে এতে লবন মরিচ গুড়ো, ধনে গুড়ো ও বাকি হলুদ গুড়ো দিন। এবং চিংড়ী গুলো দিয়ে দিন যেহেতু চিংড়ী সেদ্ধ

হতে সময় লাগে। ৮.সামান্য পানি দিয়ে দিন। এর মধ্যে কাঁচা মরিচ ফালি গুলো দিয়ে নেড়ে দিন। পানি শুকিয়ে এলে ধুয়ে রাখা কচুর লতি দিয়ে নাড়ুন। ৯. কচুর লতি দিয়ে একটু কষাতে থাকুন ।এরপর সামান্য পানি দিয়ে ঢেকে দিন কচুর লতি তেলের ঊপর আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন নামানোর আগে একটু ধনে পাতা ছড়িয়ে দিন। ১০.হয়ে গেল গরম গরম চিংড়ী কচুর লতি। গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

টিপস—
১.কচুর লতি খাবার সময় লেবু দিয়ে খাবেন ।মানে ভাতের সাথে লেবু রাখবেন।কারন অনেক সময় কচুতে গলা চুলকাতে পারে। ২.চিংড়ি মাছের মাথা ফেলে খেলে কোলেস্টরলের ঝুকি কম থাকে।

Check Also

৬টি সহজ টিপস, যা আমরা অনেকেই জানি না!

৬টি সহজ টিপস, যা আমরা অনেকেই জানি না!

1. সহজেই ভালো-খারাপ ডিম চেনার উপায় : শহরের এই কাজের চাপে বারে বারে দোকানে যাওয়া …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *