যে সময় নিয়মিত ঘুমালে আপনার সন্তান হবে আরও বেশী মেধাবী
image: google

যে সময় নিয়মিত ঘুমালে আপনার সন্তান হবে আরও বেশী মেধাবী

আপনার শিশু যদি দুপুরের পরে ঘুমায় সেটা খুবই ভালো অভ্যাস। তাকে ভালোভাবেই ঘুমাতে দিন। দুপুরের পরে আপনার শিশুর এ ঘুমটা ওর মেধা ও স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য চমৎকার কাজ করে। বিশেষ করে এখনও যেসব শিশু স্কুলে যাওয়া শুরু করেনি, তাদের জন্য দুপুরের পর

ঘুম খুবই দরকারি।সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গবেষণাটি চালায় যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস আমহার্স্ট।গবেষণায় দেখা গেছে, স্কুলে যাওয়ার আগে বাসায় শিশুদের শিক্ষণের যে প্রক্রিয়াটা মা-বাবার কাছ থেকে শুরু হয়, তা ভালোভাবে মাথায় ধারণ

করতে হলে বিকেলের ঘুমটা তাদের চাই-ই। মনোবিজ্ঞানী রেবেকা স্পেন্সার এবং তার সহগবেষক দুই ছাত্রী ক্যাসি ডুক্লোস ও লরা কার্ডজায়েল বলেন, তাদের গবেষণার প্রতিপাদ্য হলো দুপুরের পরে কমপক্ষে এক ঘণ্টা ঘুম শিশুদের প্রাথমিক শিখন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি সংগঠনে দারুণ কার্যকর। পশ্চিম ম্যাসাচুসেটসের এখনও স্কুল যাওয়া শুরু করেনি, এমন ৪০ শিশুর ওপর গবেষণা চালিয়েছেন রেবেকা স্পেন্সার।

গবেষণার ফল উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এটার ওপর আমরাই প্রথম গবেষণা করেছি। আমরাই দেখিয়েছি, দুপুরের পরের ঘুমটা একটা বাচ্চার জন্য কোনো কিছু দ্রুত শেখা এবং তা মনে রাখার জন্য কতটা জরুরি।’ গবেষণার অংশ হিসেবে শিশুদের সকাল বেলাটায় কিছু জিনিস শেখানো হয়। এটা ছিল অনেকটা ‘মনে রাখা-মনে রাখা’ খেলার মতো। এতে শিশুদের কিছু ছবি দেখানো হয়। তারপর বলা হয়,

এগুলোর মধ্যে কী ধরনের পার্থক্য আছে এবং সেগুলো ঠিক কোথায়, তা মনে রাখতে। অংশগ্রহণকারী শিশুদের দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এক ভাগ দিনের বেলায় ঘুমানোর সুযোগ পাওয়া আর বাকিদের দিনে ঘুমাতে দেওয়া হয়নি। যারা ঘুমিয়েছে, তাদের কমপক্ষে ৭৭ মিনিট ঘুমানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। রাতের বেলা অবশ্য তাদের স্বাভাবিক ঘুমই ঘুমাতে দেওয়া হয়। পরদিন সকাল বেলা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে, রাতের

ঘুম তাদের পারফরম্যান্সের ওপর কোনো প্রভাব ফেলেছে কি-না। দেখা গেছে, বেশির ভাগ বিষয় ভুলে যাওয়াদের মধ্যে আগের দিন বিকেলে ঘুমোয়নি, এমন শিশুর সংখ্যাই বেশি। তাদের মধ্যে ৩৫ ভাগই ঠিকঠাক মতো মনে রাখতে পারেনি। আর যারা দিনের বেলা ঘুমিয়েছে, তাদের মধ্যে ঠিকঠাক মনে রাখতে পেরেছে ৭৫ শতাংশ। ন্যাশনাল একাডেমী অব সায়েন্স সাময়িকী প্রসিডিংসে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণার ফল।.

Check Also

আকর্ষণীয় ফিগার

আকর্ষণীয় ফিগার পেতে চাইলে যা করবেন

আগেকার দিনে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী বলতে বোঝাতো নাদুস-নুদুস চেহারার মানুষ। যুগের সাথে মানুষের চাওয়া-পাওয়া বদলে গেছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *