এই জিনিসটি মাত্র ১ বার খান সারা বছর সুস্থ থাকুন
Image: google

এই জিনিসটি মাত্র ১ বার খান সারা বছর সুস্থ থাকুন!

সাধারণত রান্নার স্বাদ বাড়াতে রসুনের বহুল ব্যবহার রয়েছে। কিন্তু এটি আরও অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। রসুন নিয়মিত খেলেই বছর জুড়ে সুস্থ থাকতে পারবেন আপনি। দাঁতের ব্যথায় খুব ভালো কাজ করে রসুন। রসুনের একটা কোয়া থেঁতো করে নিন। দাঁতের ব্যথার জায়গায়

রসুন লাগিয়ে নিন। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় খুবই কার্যকরী রসুন। কোলেস্টরেল কমায়। ফলে হৃদরোগের শঙ্কা দূর হয়। নিয়মিত পেটের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তির জন্য রসুন খুব উপকারী। ত্বকের সমস্যা কমাতে দারুণ কাজ করে রসুন। চুল পড়া থেকেও আটকাতে রসুনের

রস খুব কাজ দেয়। ঠাণ্ডাজনিত সংক্রমণ দূরে রাখতে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন রসুন। এটি শরীরের ব্যাথা ও শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করে। হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। ক্ষুধামন্দা দূর করে। শরীরকে সব ধরনের ক্যান্সার থেকে দূরে রাখে। রসুন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ব্রন ও আঁচিল দূর করতেই কাজে দেয় রসুন। অনিদ্রা দূর করে ও ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা

করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। চর্মরোগ প্রতিরোধেও রসুন কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আজকাল অনেকেই লিভারে চর্বি (ফ্যাটি লিভারে) রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। লিভারের এই রোগটি প্রাণ সংশয়ের কারণও হয়ে দাঁড়াতে পারে। শরীরে চর্বি বিপাকপ্রক্রিয়ার অসামঞ্জস্য এবং ইনসুলিন অকার্যকারিতার জন্য লিভারের কোষগুলোতে অস্বাভাবিক চর্বি, বিশেষ করে ট্রাইগ্লিসারাইড জমে। এতে লিভারের ওজন হিসেবে ৫ থেকে ১০

শতাংশ চর্বির পরিমাণ বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব রয়েছে এ সমস্যার মূলে। অ্যালকোহল সেবনকারী এবং স্থূল ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৭৫ শতাংশ। নারী-পুরুষ উভয়ই এতে আক্রান্ত হতে পারেন। শিশু-কিশোররাও এ থেকে মুক্ত নয়।লিভারে চর্বি বা চর্বিজনিত রোগ মোটা দাগে দুই রকম অ্যালকোহলজনিত এবং অন্যান্য কারণজনিত। উভয় ক্ষেত্রেই, সাধারণ চর্বি

জমা থেকে শুরু করে রোগটি নানা জটিল ধাপে অগ্রসর হতে পারে, যেমন- লিভারে প্রদাহ, প্রদাহজনিত ক্ষত বা সিরোসিস, লিভারে অকার্যকারিতা ইত্যাদি। অ্যালকোহলজনিত কারণে এ থেকে যে সিরোসিস হয়, তাতে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি, প্রায় ১০ শতাংশ। যখন এই চর্বিযুক্ত সেলগুলো লিভার টিসুদের বাধা দেয়, তখনই লিভার ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এমন কী এই ধরনের পরিস্থিত তৈরি হলে

কোনও কোনও ক্ষেত্রে লিভার ফুলতেও শুরু করে। লিভারে মেদ জমা যদি ঠিক সময়ে আটকানো না যায় তাহলে তা থেকে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। লিভারে চর্বি জমার ঝুঁকি ও কারণগুলোকে কেবল প্রতিরোধের মাধ্যমেই এ রোগের প্রতিকার সম্ভব। কেননা রোগটির কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। তবে আশাহত হবেন না। ঠিক সময়ে যদি চিকিৎসা শুরু করা যায় তাহলে লিভারের রোগ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠা যায়। তবে এমন কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা আছে যা অনুসরণ করলে লিভারের চর্বি গলে এই রোগ থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

লেবুজল:প্রতিদিন লেবু জল পানের অভ্যাস করুন। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- সি থাকে, যা লিভারকে দূষণমুক্ত করতে সাহায্য করে।
গ্রিন-টি:প্রতিদিন সকালে ও বিকালে এক কাপ করে গ্রিন-টি পান করুন। এটি লিভার ফাংশন ঠিক করতে সাহায়তা করে। অ্যাপেল সিডার ভিনিগার : এক কাপ গরম জল কেয়েক ফোঁটা অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন খাবার আগে পান করুন। কয়েক মাস এটা খেলেই দেখবেন লিভারে জমে থাকা চর্বি সব গায়েব হয়ে গেছে।

আদাজল :এক চা চামচ আদা গুঁড়া গরম জল মিশিয়ে দিনে দুবার পান করুন। এই পানীয় টানা ১৫ দিন খেলেই দেখবেন অনেক সুস্থ বোধ করছেন। কারণ এটি লিভারে চর্বি জমার প্রক্রিয়াটি প্রায় বন্ধ করে দেয়। ফলে লিভার আস্তে আস্তে ঠিক হতে শুরু করে।
আমলার রস:আমলায় ভিটামিন-সি থাকায় এটি লিভারকে দূষণমুক্ত করে। তাই লিভারের অসুখে আক্রান্ত রোগী যদি টানা ২৫ দিন এই রস, এক চামচ করে প্রতিদিন সকালে খান, তাহলে তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *