আমাদের ভারতের মহিলারা কঠোর পরিশ্রম এবং সাহস এর উদাহরণ। তারা কেবল ঘর এবং পরিবার সামলাতে পারেন না তারা পুরুষদের মতো কঠোর পরিশ্রম করতে জানে। আমাদের সমাজে এমন অনেক মহিলা আছেন যারা নিজের কঠোর পরিশ্রম দিয়ে অনুপ্রেরণা হয়ে





উঠেছে অনেকের জন্য। সাধারণ ঘরে থেকেও কিভাবে একজন মহিলা নিজের জীবনের সাফল্য পেতে পারে এবং বিদেশ যেতে পারে সেই গল্পই আমরা আর আপনাদের বলতে যাচ্ছি। আমরা আজ যার কথা বলছি তিনি রাজস্থানের বাসিন্দা রুমা দেবী। আপনি যদি রুমা দেবীর দুটি ফটো দেখেন তাহলে আপনি ভাববেন যে এই দুই মহিলা আলাদা কিন্তু একেবারেই তা নয়। প্রথম ছবিটিতে তার জীবনে লড়াইয়ের





কথা বলা হয়েছে এবং দ্বিতীয় ছবিতে তার জীবনে সাফল্যের কথা বলা হয়েছে। রুমা দেবী তার জীবনে অনেক সংঘর্ষ করেছেন। ছোটবেলাতে বাল্যবিবাহ হয়েছিল এবং তারপর থেকে তার জীবনে সমস্যা শুরু হয়। ছোটবেলায় বিয়ে হওয়ার কারণে তার স্বপ্ন গুলি মনের মধ্যে রয়ে গেছিল। তবে তিনি তার মেধার জোরে সাফল্য অর্জন করেছিলেন। রুমা দেবী রাজস্থানী হস্তশিল্প যেমন, শাড়ি, চাদর, কুর্তা





ইত্যাদি জিনিস তৈরিতে খুব দক্ষ ছিলেন। তাঁর তৈরি পোশাকগুলি কেবল আমাদের দেশে নয় বিদেশেও বিখ্যাত। আজ তিনি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে বার্মার, গেলসেমার এবং বিকেনার জেলাগুলিতে অবস্থিত প্রায় 75 টি গ্রাম থেকে 22 হাজার নারীকে কর্মসংস্থান প্রদান করছে। তাদের গ্রুপের মহিলাদের দ্বারা নির্মিত পণ্যগুলি লন্ডন, জার্মানি, সিঙ্গাপুর এবং কলম্বোতে রপ্তানি হয়। লেখক নিধি জৈন তাঁর





উপর একটি বই লিখেছিলেন, যার নাম ‘হসলে কা হুনার’। সেই ‘হসলে কা হুনার’ বইয়ে রুমা দেবীর জীবন সংগ্রাম থেকে শুরু করে তার সাফল্যের সব গল্পই ভালো করে লেখা আছে। সেই বইতে আরও বলা হয়েছিল যে, রুমা দেবী যেমন স্বল্প সাক্ষরতা, সংস্থান ও প্রযুক্তিগত অভাবের সমস্যা এই সব কিছু থাকা সত্ত্বেও তিনি তার কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের পরিচয় তৈরি করে সফলতা অর্জন





করেছিলেন। গ্রামের অন্যান্য মহিলা দেরও স্বাবলম্বী হওয়ার উপায় দেখিয়েছেন তিনি। নিজের গ্রামে থাকতেই সাফল্য অর্জনকারী রুমা দেবীকে বিদেশ ভ্রমণের জন্যও আমন্ত্রিত করা হয়েছিল। এর বাইরেও তারা কয়েক হাজার নারীকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছিল। রুমা দেবীর কাজ প্রশংসনীয়।









