আপনার শরীরে কি আরো আয়োডিনের অভাব রয়েছে কিনা তা আমরা আয়োডিনের অভাবে প্রকাশিত সবচেয়ে লক্ষণীয় উপসর্গগুলোর একটি তালিকা করেছি। যদি আপনি নিজের সাথেএসবের মিল পান





তাহলে দ্রুত ডাক্তারের কাছে গিয়ে আসল কারণ খুঁজে বের করুন। ১.অতিরিক্ত শীত লাগা-গরমের মধ্যেও চাদর মুড়ি দিয়ে থাকা আয়োডিনের অভাব নির্দেশ করে। সবাই যখন গরমের তীব্রতায় টিশার্ট পড়ে ঘুরে বেড়ায় তখনো আপনি শীতে কাঁপেন তাহলে ধরেই নিতে হবে আপনার শরীরে আয়োডিনের অভাব রয়েছে যা আপনার বিপাক প্রক্রিয়া ধীর করে দেয় এবং দেহ তার প্রয়োজনীয় পরিমাণ তাপ উৎপাদন করতে পারে





না। ফলে আপনি অতিরিক্ত শীত অনুভব করেন। ২.অপ্রত্যাশিতভাবে ওজন বেড়ে যাওয়া- বিপাক প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত শীত লাগাই শুধু আয়োডিনের অভাব নির্দেশ করে না। বরং, অপ্রত্যাশিতভাবে ওজন বেড়ে যাওয়াও আয়োডিনের অভাবের সংকেত দেয়। আয়োডিনের অভাবে শরীর স্বাভাবিকের চেয়ে কম ক্যালোরি পোড়ায় এবং ক্যালোরিগুলো শরীরে চর্বি হিসাবে জমা হতে হতে ওজন বাড়িয়ে দেয়। ৩.অবসাদ





এবং ক্লান্তি- গবেষণায় দেখা গেছে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা কম এমন ৮৮% মানুষের এই সমস্যা রয়েছে। যদি দেখেন একই কাজ করতে আগের চেয়ে বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাহলে এর পেছনে আয়োডিনের অভাব কারণ হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ক্লান্তি এবং অবসাদের জন্য বিপাক প্রক্রিয়ার ধীর গতিকে দায়ী করা হয়। ফলে আমরা কাজ করার শক্তি হারিয়ে ফেলি। ৪.শেখার ক্ষমতা এবং স্মৃতিশক্তি হ্রাস- ২০০৪





সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে যাদের থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা রয়েছে তাদের মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাস আকারে স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট হয়ে থাকে। মস্তিষ্কের এই অংশটি আমাদের স্মৃতি সংরক্ষণের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। তাই আয়োডিনের অভাব হলে মানুষের স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে শুরু করে। আর বিপাক ক্রিয়ার ধীর গতির কারণে মস্তিষ্কের শেখার শক্তিও কমে যায়। ৫.বিষণ্ণতা এবং আতঙ্ক– অনেকের ধারণা মানসিক





কারণেই কেবল বিষণ্ণতা এবং আতঙ্ক দেখা দেয়। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন, থাইরয়েড হরমোনের অভাব এবং বিষণ্ণতার সাথে সংযোগের কথা বহু আগে থেকেই জানা। স্বাভাবিকের চেয়ে যদি অতিরিক্ত মন ভার হয়ে থাকে তাহলে দ্রুত ডাক্তার দেখিয়ে যথাযথ চিকিৎসা নিন। ৬.গলগণ্ড বা ঘ্যাগ – এখন আমরা সবচেয়ে পরিচিত লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করবো। সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘ্যাগ নামে





পরিচিত গলগণ্ড রোগটি থাইরয়েড গ্রন্থি অস্বাভাবিকভাবে বড় হয়ে সৃষ্টি হয়। যখন আপনার শরীরে পর্যাপ্ত আয়োডিন নেই, তখন থাইরয়েড গ্রন্থি পর্যাপ্ত হরমোন উৎপাদনে ব্যর্থ হয় এবং রক্ত থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান গ্রহণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। এর ফলে তার কোষ অতিরিক্ত বিভাজিত হয় এবং বড় হতে শুরু করে।৭.গর্ভধারণ-জনিত সমস্যা– গর্ভবতী নারীদের আয়োডিনের অভাবজনিত বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে শুধু





নিজের জন্য নয়, অনাগত সন্তানের জন্যও গভীর মনোযোগী হতে হবে। শিশুর জন্মের আগেই তার নিজের জন্য থাইরয়েড হরমোন খুব জরুরি। এর অভাব হলে শিশুর মস্তিষ্কের পরিপূর্ণ বিকাশ হয় না এবং তার বুদ্ধিমত্তা কম হয়। তার চেয়েও বড় কথা, আয়োডিনের অভাবে





গর্ভপাতের মতো মারাত্মক ঘটনাও ঘটতে পারে। ৮.ব্রাডিকার্ডিয়া সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে হেলদি হার্ট রেট হল মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বিটস। খুব ধীর গতির হার্ট রেট কে ‘ব্রাডিকার্ডিয়া’ বলা হয়। এই ‘ব্রাডিকার্ডিয়া’য় প্রতি মিনিটে হার্ট রেট ৫০ বিটের কম পড়তে থাকে। আয়োডিনের অভাবে ব্রাডিকার্ডিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।









