হাই প্রেশারের যে লক্ষণ পা তে দেখা যায়
Image: google

হাই প্রেশারের যে লক্ষণ পায়ে দেখা যায়

অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ হৃদরোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাসকুলার রোগের (সিভিডি) ঝুঁকি বহুগুণে বাড়িয়ে দেয় (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য)। উচ্চ রক্তচাপকে নীরব ঘাতকও বলা হয়। যদিও উচ্চ রক্তচাপের তেমন কোনো লক্ষণ শরীরে প্রকাশ পায় না। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন

বলছে, উচ্চ রক্তচাপ সারানো যায় না। তবে জীবনযাত্রার পরিবর্তন ও প্রয়োজনীয় ওষুধের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপ কীভাবে সংবহনতন্ত্রকে প্রভাবিত করে? উচ্চ রক্তচাপ কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজের ঝুঁকির অন্যতম কারণ। এটি প্রাথমিকভাবে রক্তনালির ক্ষতি করে। সংবহনতন্ত্র অক্সিজেন পেতে হৃদয় থেকে ফুসফুসে রক্ত পাম্প করতে সাহায্য করে। হৃৎপিণ্ড তখন অক্সিজেনযুক্ত রক্ত ধমনী দিয়ে

শরীরের বাকি অংশে পাঠায়। অন্যদিকে শিরাগুলো আবার সঞ্চালন প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য খারাপ অক্সিজেনযুক্ত রক্তকে হৃৎপিণ্ডে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপ হৃৎপিণ্ডকে কঠোর পরিশ্রম করতে উদ্বুদ্ধ করে। তবে রক্তনালি দুর্বল হওয়ায় রক্তের চাপ থাকায় শক্তি ও ঘর্ষণের ফলে অবশেষে ধমনীর ভেতরের সূক্ষ্ম টিস্যুগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

উচ্চ রক্তচাপ কীভাবে পিএডি (প্যাড) সৃষ্টি করে?
এটি কী? উচ্চ রক্তচাপ ধমনীর অভ্যন্তরে সূক্ষ্ম টিস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই ধমনীগুলোর মধ্যে কিছু পায়ের সঙ্গেও সংযুক্ত। এসব রক্তনালি দিয়ে স্বাভাবিকভাবে রক্ত চলাচল করতে না পারলে শরীরে নিচের অংশ দুর্বল হয়ে পড়ে ও প্যাড বা পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ নামক সমস্যার

সৃষ্টি হয়। যদিও প্যাড তেমন বিপজ্জনক বা প্রাণঘাতী নয়, তবে চিকিৎসা না করা হলে এটি বাড়তে পারে। এর থেকে হার্ট ফেইলিওর বা হার্ট অ্যাটাক’সহ গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার সৃষ্টি হয়। পায়ের রক্ত সঞ্চালনের সমস্যার ৩ লক্ষণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত অ্যাডভান্সড ফুট অ্যান্ড অ্যাঙ্কেল কেয়ার বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ রক্তচাপের কারণে প্যাডের লক্ষণগুলোর মধ্যে একটি হল ঠান্ডা পা। এ ছাড়া কেউ ‘লাল বা নীল

আঙুল, পায়ে ঝিঝি ধরা ও পায়ের লোম ঝরে পড়া সবই রক্ত সঞ্চালনের সমস্যাকে নির্দেশ করতে পারে।’ পায়ের এসব সমস্যা এথেরোস্ক্লে রোসিসেরও লক্ষণ হতে পারে। ধমনীর দেওয়ালে জমে থাকা চর্বিযুক্ত পদার্থকে বলা হয় প্লেক। এটি ধমনীকে সংকুচিত ও শক্ত করে। প্লেক জমার কারণে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের সমস্যা হয়। উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে এটি ঘটে। যা হৃদরোগের আরেকটি বড় ঝুঁকির কারণ। এথেরো

স্ক্লেরোসিস হৃদপিণ্ডের দিকে পরিচালিত ধমনীতে রক্ত প্রবাহকে সীমাবদ্ধ করে, আর তখন এটি প্যাডের লক্ষণ সৃষ্টি করে, প্রাথমিকভাবে পা ও পায়ে প্রভাবিত করে।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের উপায় কী?
ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।

স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে উপায় হলো- ১. স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ২. স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা ৩. নিয়মিত ব্যায়াম করা ৪. ধুমপান ত্যাগ করা ৫. অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা ও ৬. পর্যাপ্ত ঘুমানো।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *