যেসব লক্ষণে বুঝতে পারবেন শরীরে কোলেস্টেরল এর মাত্র বাড়ছে!
Image: google

যেসব লক্ষণে বুঝতে পারবেন শরীরে কোলেস্টেরল এর মাত্র বাড়ছে! মোটেও উপেক্ষা নয়

এক জায়গায় টানা বসে ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ, কি বোর্ডে যত না বেশি হাত চলছে তার থেকেও কয়েক গুণ বেশি চুমুক কফিকাপে, শরীর চর্চার কোনও রকম বালাই নেই। খিদে পেলেই কামড় স্যান্ডউইচ, বার্গারে কিংবা কখনও ন্যুডলস। আর এই সব কারণেই বাড়ছে কোলেস্টেরল।

সেই সঙ্গে জাঁকিয়ে বসছে ডায়াবেটিসও। সময়ের অভাবে শরীরচর্চাও এখন শিকেয় উঠেছে। পাশাপাশি রক্তে বাড়ছে সুগারের মাত্রাও। তবে এত প্রচার সত্ত্বেও অধিকাংশ মানুষ এই ডায়াবেটিস আর কোলেস্টেরল নিয়ে বিন্দুমাত্রও সচেতন নয়। শরীরে কোলেস্টেরল বাড়লে সেখান থেকে আসে একাধিক সমস্যা। তাই মানুষকে আগেভাগেই সতর্ক হয়ে যেতে হবে। আমাদের শরীরে ভাল আর খারাপ এই দুই কোলেস্টেরল থাকে। শরীরে

হঠাৎ করে খারাপ কোলেস্ট্রলের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে প্রথমেই তা কিন্তু ধরা পড়ে না। যখন ধরা পড়ে তখন অনেকটা দিন গড়িয়ে যায়। এই খারাপ কোলেস্টেরল (LDL)বাড়তে শুরু করলেই শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। হঠাৎ করে বুক ধড়ফড়, হার্টবিট বেড়ে গেলে, সামান্য হেঁটে বা সামান্য পরিশ্রমে হাঁপিয়ে গেলে বুঝতে হবে রক্তে বাড়ছে কোলেস্টেরল। এছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে পায়ের পেশিতে ব্যথা লাগে, হাঁচতে

গেলে পায়ে টান লাগে- এসবও কিন্তু কোলেস্টেরল বৃদ্ধিরই ইঙ্গিত। অনেক সময় চোখের উপরেও কোলেস্টেরল জমতে দেখা যায়। কোলেস্টেরল বাড়ছে কিনা জানতে সকলেরই বছরে অন্তত ২ বার লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করানো উচিত। এই টেস্ট করতে হয় না খেয়ে। ৮-১৯ ঘন্টার উপবাসে থেকে রক্ত দিতে হয়। যদি দেখেন যে কোলেস্টেরল বেড়েছে তাহলে দেরী না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। প্রয়োজনীয় ওষুধ

খান। সঙ্গে নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা শুরু করুন। একই সঙ্গে রোজকার খাবারে আনুন পরিবর্তন। বাইরের খাবার একেবারেই চলবে না। তেল-মশলা কম খান। রোজ নিয়ম করে ফল, সবজি, মাছ খান। তবে মাংস নয়। ঘি, মাখন, সাদা তেল এসবও একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে।

বাইরের খাবার আজ থেকেই ছাড়ুন। ভুল করেও পিৎজা, বার্গার নয়। ঘাম ঝরানো এক্সসারসাইজ করতে হবে ৩০ মিনিট। শুধুমাত্র যোগাসন করে কোনও লাভ হবে না। হাঁটার সময় স্পিড বজায় রাখুন। রোজ শরীরচর্চাকে নিয়মের মধ্যে বেঁধে ফেলুন।

Check Also

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মাঝে হৃদরোগ বাড়ছে যে কারণে

তরুণদের মধ্যে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস ও …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *