মানুষ কীভাবে সুস্থ থাকতে পারে এবং কোন উপায়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে, সেটি নিয়ে নানামুখী গবেষণা হয়েছে বিশ্ব জুড়ে। চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিজ্ঞানীরা বলছেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী না হলে অল্প অসুস্থতাতেও মানুষ খুব সহজে দুর্বল
হয়ে পড়ে এবং রোগের আক্রমণও জোরালো হয়। স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, ঘন ঘন ঠাণ্ডা-কাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার লক্ষণ। এছাড়াও 1. ঘন ঘন ঠাণ্ডা কাশি: প্রাপ্ত বয়স্কদের বছরে দুএকবার ঠাণ্ডা কাশি হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু, যদি ঘন ঘন এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। ঘন ঘন ঠাণ্ডা লাগা নানান সমস্যা যেমন-
নিউমোনিয়া ও ব্রংকাইটিসের লক্ষণও হতে পারে। তাই দ্রুতই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 2.ধীর আরোগ্য: শীতের কেবল সাধারণ অসুখ বিসুখ নয় এর সঙ্গে অন্যান্য অসুখ হওয়া ও তা নিরাময়ে বেশি সময় লাগা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার লক্ষণ। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে
খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার ধরনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করতে হবে। 3. পেটের সমস্যা: দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অন্যতম লক্ষণ
হল পেটের নানা রকম সমস্যা যেমন- গ্যাস সৃষ্টি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া। 4. পরিপাকতন্ত্রে এমন কিছু অণুজীব থাকে যা শরীর ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় সহায়তা করে। দেহে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গেলে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। 5. দুর্বলতা: রাতে
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। এরপরও যদি ক্লান্ত অনুভূত হয় তাহলে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে তা শক্তির
ওপরেও প্রভাব ফেলে। এতে সারাক্ষণই দুর্বলভাব দেখা দেয়। 6. মানসিক চাপ: দুশ্চিন্তা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অন্যতম লক্ষণ নয়। তবে এই সমস্যা প্রতি নিয়ত দেখা দিলে তা নিয়ে ভাববার আছে। দুশ্চিন্তা শরীরের লোহিত রক্ত কণিকা কমায় যা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণ। তাই দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।
ডিসক্লেইমার: প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেজ্ঞের পরামর্শ নিন।